একবিংশ শতকের শুরুতেও গরমকালে গৃহস্থ বাড়িতে গেলে তালপাতার হাতপাখার দেখা পাওয়া যেত৷ লোডশেডিং হলেই বেরিয়ে পড়ত তালপাতা দিয়ে তৈরি নানান কারুকার্য করা হাতপাখা৷ গ্রাম বাংলা তো বটেই এমনকি মফঃস্বল ও শহরেও দেখা যেত এই পাখা৷ কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে, তত উন্নত হয়েছে প্রযুক্তি৷ গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ ৷ এমনকি লোডশেডিংও আর তেমন হয় না৷ আর হলেও প্রযুক্তি তারও সমাধান বের করে ফেলেছে৷ লোডশেডিংয়ের সময় ইনভার্টারে বাড়ির পাখা-লাইট সব চালানো যায়৷ আবার প্লাস্টিক আর এভাবেই ক্রমশ বিলুপ্তির পথে তালপাতার তৈরি হাতপাখা৷
advertisement
মানুষ এখন প্রযুক্তির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়েছে। প্রযুক্তির উত্থানেই বিলুপ্তির পথে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প। আগে বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই বাড়িতে-বাড়িতে চোখে পড়ত নানা নকশার তালপাতার হাতপাখা। হাতপাখার নরম হাওয়া খেতে খেতেই চলত আড্ডা। আজ আর সেই দিন নেই। আজ একটা সুইচ টিপলেই মাথার উপরে বনবন করে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছে এসি। তালপাতার হাতপাখার আর কদর নেই। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম, কান্দি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার তালপাতার শিল্পীরা আজ সংকটে। আগের মত আর সেভাবে বিক্রি হয় না তালপাতার পাখা।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে তীব্র গরম হলেও ২০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে এই তালপাতার হাতপাখা বিক্রি হয় বাজারে। যার চাহিদা থাকে গরমের সময় মাঝে মধ্যেই। চিকিৎসক সুনীলমোহন দাস জানিয়েছেন, গরমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হাত পাখার ব্যবহার, ফ্যান এগুলোর মধ্যে থাকা উচিৎ উচিৎ। তাহলে শরীর ভাল থাকবে।