সারণ জিলিপীর বিশেষত্ব শুধুমাত্র স্বাদে নয়, তার উপকরণেও লুকিয়ে আছে এক আলাদা চমক।
এই মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় রুল ময়দা, চিনির সিরা এবং একটি স্থানীয় উপাদান বিডরি কলাই, যা এর স্বাদে এনে দেয় এক অসাধারণ নতুনত্ব।
advertisement
দোকান ব্যবসায়ী অরুণ প্রসাদের কথা, “সারণ জিলিপির আসল জাদু লুকিয়ে রয়েছে তার উপকরণে। এই জিলিপি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় রুল ময়দা, যা সাধারণ ময়দার থেকে অনেক বেশি সূক্ষ্ম এবং স্বাদে মোলায়েম। চিনির ঘন ও সুগন্ধি সিরা তো রয়েছেই, তবে যা একে সত্যিকারের অনন্য করে তোলে, তা হল, বিরি কলাই। এটি একটি স্থানীয় উপাদান, যার সংমিশ্রণে সারণ জিলিপির স্বাদে মেলে এক অদ্ভুত নতুনত্ব, যা প্রথমবার মুখে নিলেই মন মুগ্ধ করে দেয়।”
এটি শুধু একটি মিষ্টি নয়, বরং পারবেলিয়ার এক নিজস্ব খাদ্য পরিচয়। মূলত পারবেলিয়া মোড়ের একটি দোকানেই এটি তৈরি ও বিক্রি হয়, তবে দিনে দিনে সারণ জিলিপীর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা পুরুলিয়া জেলাজুড়ে। দোকান ব্যবসায়ী অরুণ প্রসাদের কথা, “প্রতিটি দোকানেই তো মানুষ জিলিপি খেয়ে থাকে। তাই আমি চেয়েছিলাম একটু অন্যরকম স্বাদের, নতুন কিছু দিতে। সেই ভাবনা থেকেই আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে আমি সারণ জিলেপি তৈরি করা শুরু করি। যা আজও জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে এলাকায়।”
আজ সারণ জিলিপী শুধু একটি মিষ্টি নয়, বরং একটি ঐতিহ্য, যা পারবেলিয়ার মাটির সঙ্গে, মানুষের আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে।
শান্তনু দাস