আরও পড়ুন - No Ball Controversy: নিজেকে বলি দিয়ে ‘এভাবে’ অধিনায়ককে ঋষভ পন্থকে বাঁচিয়েছিলেন প্রবীন আমরে
১। ত্বক থেকে সারা বছরই এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল বের হয়। গ্রীষ্মে কড়া রোদের কারণে সেই তেল শুকিয়ে যায়। এর ফলে সিবাম উৎপাদন বেড়ে যায়, যা তেলতেলে ত্বকের হাল বেহাল করে ছাড়ে। যাদের এমনিতেই শুষ্ক ত্বক, গ্রীষ্মে তাঁদের ত্বক আরও শুকনো হয়ে যায়।
advertisement
২। অনেকেই দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা এসি ঘরে বা অফিসে কাটান। এটা আরও খারাপ। ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। এর পিছনে কৃত্রিম ডিইউমিউফাইড বায়ু বড় ভূমিকা রয়েছে।
৩। গ্রীষ্মে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। ক্রমাগত ঘাম তো হয়ই। অনেক সময় জল কম খাওয়া হয়। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়। ঘামের ফলে হারিয়ে যাওয়া এই আর্দ্রতা ফিরে পেতে সাহায্য করে ময়েশ্চারাইজার। তবে পরিমাণ মতো জল খেতে ভুললে চলবে না। প্রিয় ফলের রসও খাওয়া যায়।
৪। গ্রীষ্মে অনেকেরই দীর্ঘক্ষণ শাওয়ারের নিচে থাকার অভ্যাস। অনেকে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা সুইমিং পুলে কাটান। এটাও ক্ষতিকর। পুলের ক্লোরিন থেকে ত্বককে রক্ষা করা উচিত। কড়া রোদের মতো এটাও ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের গ্রন্থির ক্ষতি করে।
৫। কড়া রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এ থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র ময়েশ্চারাইজার। এটা বিভিন্ন ফ্যাট জাতীয় পদার্থ দিয়ে ত্বকে একটা প্রাচীর গড়ে তুলে। শরীরের ভেতরের জল ও গ্লিসারলকে ত্বকের এপিডারমিস স্তরে আনতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের জলধারণের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
তবে মনে রাখতে হবে ময়েশ্চারাইজার যতক্ষণ ত্বকের সঙ্গে থাকে, তত ক্ষণ পর্যন্ত কাজ করে। তাই বার বার লাগাতে হবে। পেট্রলাটাম পদার্থ দ্বারা যে ময়েশ্চারাইজার তৈরি হয়, সেটা সবচেয়ে ভাল। এটা ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অ্যালার্জিও কম হয়। এটির একটি তৈলাক্ত ভাব থাকে। এর সঙ্গে অন্য পদার্থ মিশিয়ে ভাল ময়েশ্চারাইজার তৈরি করা হয়। মিনারেল অয়েল আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ময়েশ্চারাইজার। এটা ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দ্রুত কমে যায়। ল্যানোলিন ভেড়ার সিবাম থেকে তৈরি হয়। অনেকেরই এটি সহ্য হয় না। অ্যালার্জির পরিমাণও খুব বেড়ে যায়। এখন অবশ্য ল্যানোলিন পরিশ্রুত রূপে ব্যবহার করা হয়।
