এস্থেটিক ক্লিনিকের ডার্মাটলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটলজিস্ট এবং ডার্মেটো-সার্জেন রিঙ্কি কাপুরের (Rinky Kapoor) মতে, চুলে নিয়মিত সামান্য পরিমাণে অয়েল মাসাজ করলে রক্ত চলাচল বাড়ে যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। যদিও বা অয়েল মাসেজের সঙ্গে চুলের বৃদ্ধির সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই তৎসত্বেও নিয়মিত সামান্য পরিমাণে ন্যাচরাল অয়েল ব্যবহার করতে পারলে তা নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং ড্রাই হয়ে যাওয়ার হাত থেকে চুলকে বাঁচায়।
advertisement
অয়েল মাসাজ চুলের গোড়া অবধি পৌঁছে ত্বকের ওপর এক ধরনের প্রলেপ তৈরি করে। এতে চুলে রুক্ষ, শুকনো বা চুল ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। অয়েল মাসেজের নানা গুণ থাকলেই কিন্তু হবে না, মনে রাখতে হবে যে সঠিক ভাবে মাসাজ না করলে কিন্তু মনোমতো উপকার পাওয়া যাবে না। তাই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনেই অয়েল মাসাজ করা উচিত।
অয়েল মাসেজের প্রথম কথাই হল, হালকা হাতে ধীরে ধীরে তেল মালিশ করতে হবে, কোনও ভাবেই চুলের গোড়ায় ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না। এর পাশাপাশি খুব বেশি সময়ের জন্য নয়, মাসেজের পর ঘন্টাখানিক মাথায় তেল রেখে দেওয়াই যথেষ্ট। অনেক সময় ধরে চুলের গোড়ায় তেল জমে থাকলে, তা কোষগুলিকে বন্ধ করে দেয় এবং চুলে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত করে। এতে কিন্তু আখেরে চুলেরই ক্ষতি হবে, এমনকি চুল ঝরে যাওয়ার মতো সিরিয়াস সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- মাঝরাতে গলা শুকোচ্ছে বার বার! শরীরে গোপনে মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো
যাঁরা বেশিরভাগ সময় ড্যানড্রফের সমস্যায় ভোগেন বা জন্মগত ভাবেই যাঁদের অয়েলি স্কিন, তাঁদের ভুল করেও চুলে তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ড্যানড্রফের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। অধিক সময় ধরে চুলে তেল লাগিয়ে রাখলে ধুলোবালি, ধোঁয়া বা অন্য ক্ষতিকারক কণা চুলের গোড়ায় জমে চুলকে আরও রুক্ষ, শুকনো করে দিতে পারে। বাজারে চলতি নানন ধরনের তেল থেকে আমাদের পছন্দ অনুযায়ী তেল বেছে নিয়ে আমরা ব্যবহার করতে পারি। তবে মনে রাখতে হবে, কোনও তেলই একনাগাড়ে বেশি দিন ব্যবহার করা উচিত নয়।