ডবল চিন কেন হয়: সাধারণত চিবুকের নিচের অংশে চর্বি জমলে ডবল চিন দেখা দেয়। এই চর্বি জমার অনেক কারণ থাকতে পারে। আলগা চামড়া এর প্রধাণ কারণ হলেও পারিবারিক ইতিহাসকেও উপেক্ষা করা যায় না। এছাড়া ওজন কমবেশি হলে ত্বক প্রসারিত এবং সংকুচিত হওয়ার কারণেও ডবল চিন হতে পারে। বয়স বাড়লে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। বেশি বয়সীদের ডবল চিন হওয়ার এটাও একটা কারণ। এ থেকে মুক্তি পাওয়া একটু শক্ত তবে অসম্ভব নয়।
advertisement
তাই মুখের যোগা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির কারণেই ডবল চিন হয়। কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়’। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে কয়েকটি সহজ যোগা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
আরও পড়ুন- Chanakya Niti: বিভিন্ন ধরণের মহিলাদের বিশেষ লক্ষণ থাকে, বিয়ের আগেই তাই সমঝে নিন
গুয়া শা ব্যবহার করতে হবে: গুয়া শা (Gua Sha) হল ত্বকচর্চার প্রাচীন চৈনিক পদ্ধতি। এতে স্ক্রাব এবং কোয়েনিং একসঙ্গে করা হয়। গুয়া শা শুধুমাত্র মুখের বৈশিষ্টগুলিকে ফুটিয়ে তোলে তাই নয়, মুখের পেশির অতিরিক্ত চর্বিও ঝরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন - বন্ধ টিকিট কাউন্টার চলে গিয়েছে হকারদের দখলে, ট্রেন মিসে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা
সঠিক ভঙ্গিমা: সঠিক ভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকে বসা, ঘন ঘন ঘাড় বাঁকালে ঘাড়ের পেশি দুর্বল এবং শিথিল হয়ে যায়। এতে অকাল বার্ধক্যের মতো ঘাড় এবং চিবুকের চারপাশের ত্বক ঝুলে যায়। শরীরের যে কোনও অংশের পেশি শিথিল হয়ে গেলে সেখানকার ত্বক ঝুলে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক ভঙ্গি ডবল চিন কমাতে যথেষ্ট। ভঙ্গি সঠিক রাখা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে যেমন পিঠে ব্যথা, জয়েন্টগুলির অবক্ষয় ইত্যাদি।
মুখের মাসাজ: ডবল চিন কমানোর সবচেয়ে কার্যকরি পদ্ধতি হল মুখের মাসাজ। এটা লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশনে সাহায্য করে। যাতে মুখের ত্বককে ঋজু এবং টোনড দেখায়। তাই ডবল চিনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন মুখে মাসাজ করা দরকার।
মুখের ব্যায়াম: ব্যায়াম হল চর্বি পোড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়। তাই চিবুকের চারপাশের পেশিগুলোর ব্যায়াম করলে ধীরে ধীরে সাবমেন্টাল ফ্যাট অপসারিত হবে। তাড়াতাড়ি এবং ভাল ফল পেতে চাইলে একদিনও মুখের ব্যায়ামের অনুশীলনে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। মুখের ব্যায়াম চোয়ালের পেশিগুলোকে টোন করতেও সাহায্য করে। ফলে চোয়াল হয় ঋজু এবং ধারালো।
