পোড়া, আঘাত, চিকেন পক্স, ব্রণ বা চিকিৎসার কারণে হওয়া দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। অনেক চেষ্টা করেও সেই দাগ তোলা যায় না। আয়নার সামনে দাঁড়ালে চুম্বকের মতো চোখ চলে যায় সেখানেই। চিন্তা নেই। এই দাগের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তার হালহদিশ দেওয়া হল এখানে।
নারকেল তেল: চুলের যত্নে তো বটেই, মুখের দাগ নিরাময়েও নারকেল তেলের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড। এটা ডার্মিস ভেদ করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে।
advertisement
আরও পড়ুন - Kolkata Crime: রাতের কলকাতায় চলল গুলি, আহত বিশেষভাবে সক্ষম বৃদ্ধ
ভিটামিন ই: রাতে শোওয়ার আগে ক্যাপসুল থেকে ভিটামিন ই তেল বের করে ত্বকের পিগমেন্টেড জায়গায় লাগাতে হবে। মুখের দাগ কমাতে এটা অব্যর্থ। ত্বকও ভাল থাকে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেব কাজ করে। জলে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এ জন্য এক চা চামচ বেকিং সোডায় ২ চা চামচ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেটা দাগ বা কালো ছোপের উপর লাগিয়ে আলতো হাতে ঘষতে হবে। ৫ মিনিট পর পরিস্কার জলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখ।
মধু: অনাদিকাল থেকে ক্ষত এবং পোড়া নিরাময়ে মধুর ব্যবহার চলে আসছে। কাঁচা মধুতে দাগ হালকা হয়ে যায়। ত্বকও ভাল থাকে।
আলু: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এটা ত্বক পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। মুখে আলুর রস লাগিয়ে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে পরিষ্কার জলে। হাতেনাতে ফলে মিলবে।
ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডার তেলে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা: ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা দুর্দান্ত। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অ্যালোভেরা পুরনো দাগ নিরাময়ে ম্যাজিক দেখায়। ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং কোষের পুনর্জন্ম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।