সম্প্রতি একটি একটি সার্ভে অনুসারে, ১০,০০০ এরও বেশি চুল পড়ার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি চুলের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য নির্বাচন করার সময়ে ভুল করার কথা স্বীকার করেছেন।
তাই সময় এসেছে এখনই সাবধান হওয়ার; শ্যাম্পু কেনার সময় এবারে আমাদের বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
১) সোডিয়াম লরিল সালফেট (এসএলএস), অ্যামোনিয়াম লরিল সালফেট (এএলএস) সহ শ্যাম্পু
advertisement
অ্যানিওনিক সালফেটযুক্ত শ্যাম্পুগুলি, যেমন এসএলএস এবং এএলএস চুলে জট পাকিয়ে দেয়। তাছাড়া এটি এমন একটি শক্তিশালী ক্লিনজার যা চুলের কিউটিকল স্তরকে ক্ষয় করে চুলকে শুষ্ক করে দেয় এবং চুলের ডগা ফাটিয়ে দেয়।
২) একাধিক উপাদান যুক্ত ভেষজ শ্যাম্পু
জৈব এবং ভেষজ উপাদান H+ আয়ন সমৃদ্ধ হয় যা স্কাল্পের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। স্কাল্পের আদর্শ পিএইচ থাকবে 4.5-5.5 এর মধ্যে। যে কোনও প্রোডাক্টে অতিরিক্ত উপাদান থাকা মানেই যে সেটা খুব ভালো তা কিন্তু নয়। উল্টে এরকম প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলাই মঙ্গল।
৩) অ্যাব্রেসিভের ব্যবহার
অ্যাব্রেসিভ দেওয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করা অবশ্যই একটি বড় সমস্যা। চুল থেকে চর্বি বা চিটচিটে কোনও কিছু তোলার জন্য অ্যাব্রেসিভ ব্যবহার হয় এটা সত্যি। কিন্তু অ্যাব্রেসিভ চুলের কিউটিকল নষ্ট করে দেয়, ফলে চুল পুষ্টি শোষণ করার জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪) ঠিক ভাবে চুল না ধোয়া
শ্যাম্পু করার সময় যে সব চেয়ে সাধারণ ভুলটি করা হয় তা হল হালকা ভাবে না ঘষে নোংরা কাপড়ের মতো চুল ঘষা। চুল ভেজালে এমনিতেই সংবেদনশীল এবং ৫ গুণ বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই শ্যাম্পু করার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৫) চুলের প্রয়োজন অনুযায়ী শ্যাম্পু না কেনা
প্রত্যেক শ্যাম্পুতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের চুলের জন্য দরকারি না-ও হতে পারে। শ্যাম্পু কেনার আগে তাতে কত শতাংশ কেরাটিন, সিলিকন, গ্লিসারিন ও তেল আছে সেটা দেখে নিতে হবে। চুল কোঁকড়া ও ঢেউ খেলানো হলে এই সব উপাদান বেশি থাকতে হবে। আবার সোজা চুলের ক্ষেত্রে এই সব উপাদান এতটাও লাগবে না। যাঁর সোজা চুল তিনি যদি এই সব উপাদান অতিরিক্ত মাত্রায় নিজের চুলে দেন তাহলে চুল তেলতেলে ও দুর্বল হয়ে যাবে।