চারকোলকে অনেকেই কাঠকয়লার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। মনে রাখতে হবে, এটা কয়লা নয়। বরং কাঠ এবং নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি এক ধরনের সূক্ষ গুঁড়ো। একে অ্যাকটিভেটেড চারকোলও বলা হয়। ফেস মাস্ক হিসেবে এটা দুর্দান্ত। চারকোল ফেস মাস্কের উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন - এখনও ফাইনাল পরীক্ষা হয়নি, তার আগেই ৬৩ লক্ষ টাকা মাইনের চাকরি পেলেন তরুণ, চিনে নিন থানপামকে
advertisement
চারকোলের ফেস মাস্ক: সপ্তাহে একবার চারকোল ফেস মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগিয়ে ত্বকের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বক হলে সপ্তাহে দুবার চারকোল ফেস মাস্ক এবং ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে শুষ্ক ত্বকে চারকোলের মাস্ক লাগানোর পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
সেরা ক্লিনজার: চারকোলকে ত্বকের সেরা ক্লিনজার বলা হয়। এটা শুধু ত্বকের ছিদ্রের ময়লা পরিস্কার করে গোড়া থেকে ব্ল্যাকহেডস নির্মূল করে তাই নয়, ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - Health Tips: আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হলে বুঝবেন কীভাবে? লক্ষণ এবং করণীয় জেনে নিন
সানস্ক্রিনের কাজ করে: গ্রীষ্মকালে, রোদ, ধুলাবালি এবং মাটির কারণে মুখে প্রায়শই ট্যানিং হয়। এমন পরিস্থিতিতে চারকোল ফেস মাস্ক মুখের সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে মুখকে রক্ষা করে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দূষণ থেকে সুরক্ষা: অনেক সময় দূষণের কারণে মুখে ময়লা লেগে থাকে। এর ফলে মুখে ইনফেকশন, ফুসকুড়ি, লালচেভাব এবং ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে দূষণমুক্ত রাখতে ব্যবহার করা যায় চারকোলের ফেস মাস্ক। এটা ত্বকের ছিদ্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করার দুর্দান্ত রেসিপি।
চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য: চারকোলের বিশেষত্ব হল মুখের ছিদ্র থেকে ময়লা, ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত তেল দূর করা। তাই একে চুম্বক বলা হয় অর্থাৎ চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই মুখ পরিষ্কার রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে চারকোল বেসড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে ভুললে চলবে না।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)