এখন দুটো প্রশ্ন আসে। সেটা হল, ত্বকের জন্য কোনটা ভাল? এবং দীর্ঘমেয়াদে কোনটা বেশি কার্যকর? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু লাগবে ঠিকই কিন্তু লোম অপসারণের জন্য শেভিংয়ের চেয়ে ওয়াক্সিং অনেক বেশি কার্যকর। কেন? এখানে রইল তার চার কারণ।
মসৃণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল: শেভিং করার দু-তিন দিন পর ফের লোম গজিয়ে যায়। কিন্তু ওয়াক্সিংয়ে তা হয় না। একবার ওয়াক্সিং করালে অন্তত ৩ সপ্তাহ নিশ্চিন্তি। তাছাড়া অনেক সময় অসমান শেভিং হয়। ফলে খোঁচা খোঁচা লোম থেকেই যায়। কিন্তু ওয়াক্সিংয়ে শিশুর মতো মসৃণ ত্বক মেলে। আসলে এটা চুলকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলে। তাই ত্বক মসৃণ থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন - Rishabh Pant and MS Dhoni: হেলায় সুযোগ হারালেন পন্থ! নেটিজেনরা মনে করিয়ে দিলেন ধোনির কথা, ভাইরাল
কাটা-ছড়ার ভয় নেই, চুলকানিও হয় না: শেভিংয়ের সময় একটু অন্যমনস্ক হলেই কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। বিশেষ করে রেজার ব্যবহার করলে। কাটা জায়গায় সংক্রমণ হতে পারে। তখন আরেক বিপত্তি। ওয়াক্সিংয়ে এ সব সমস্যা নেই। কাটা, ছড়ার ভয় ছাড়াই মসৃণতার অনুভূতি দেয় ওয়াক্সিং। তাছাড়া শেভ করার সময় চুলের ফলিকল থেকে চুলকানি হতে পারে। ইনগ্রোন চুল এবং রেজারের কারণে অনেক সময় ব্যথাও হয়। সেখানে ওয়াক্সিং এক্সফোলিয়েশনের একটি ফর্ম হিসাবে কাজ করে।
নিশ্চিত এক্সফোলিয়েশন এবং হাইপারপিগমেন্টেশন নেই: ওয়াক্সিংয়ের একটা বাড়তি সুবিধে হল, এটা মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে সহায়তা করে। মৃত কোষ অপসারণের ফলে ত্বক নরম থাকে। তবে ওয়াক্সিং করালে এক্সফোলিয়েশন করার দরকার নেই, এমনটা নয়, বরং ইনগ্রাউন চুল এড়াতে ওয়াক্সিং করার কয়েক দিন আগে ত্বকে এক্সফোলিয়েট করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক সময় আবার শেভ করার পর ত্বক কালচে দেখায়। এটা পিগমেন্টেশনের লক্ষণ। কিন্তু ওয়াক্সিংয়ের পর এমনটা হয় না। ওয়াক্সিং শুধুমাত্র ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে তাই নয়, হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধও করে।
ধীরে বাড়ে: নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে লোম ধীরে বাড়ে। তাছাড়া লোম পাতলাও হয়ে যায়। এমনটা হওয়ার কারণ হল, ক্রমাগত ওয়াক্সিং চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয়, তাই পাতলা এবং সূক্ষ্ম দেখায়। শেভ করলে লোমকূপের ঘন অংশের চুল ভেঙে যায়, ফলে লোম আরও ঘন হয়।