হামেশাই আমরা কুনজর-এর কথা বলে থাকি। যা কোনও মানুষের জীবন অথবা জায়গার উপর ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এই অশুভ শক্তি বা কুনজর যাতে আমাদের জীবনে প্রভাব বিস্তার না-করতে পারে, তার জন্য কিছু সাধারণ টোটকা (Remedy) অবলম্বন করতে হবে। আর সঠিক ভাবে তা করতে পারলে ঘর থেকে বিদেয় হবে সমস্ত অশুভ শক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন- বহরে বাড়ছে Meesho! শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ডিজিটাল করার দাবি
মুম্বইয়ের এক ট্যারট বিশেষজ্ঞ (Tarot Expert) নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমেই এই উপায় বাতলে দিয়েছেন। তাঁর মতে, যে-কোনও রকম অশুভ শক্তি তাড়িয়ে ঘর-বাড়িকে শুদ্ধ করা উচিত। এই পুজোর জন্য প্রয়োজন হবে একটি প্রদীপ এবং ১১টি লবঙ্গ (Cloves)। সেই সঙ্গে লাগবে ১টা তেজপাতা (Bay Leaves) এবং ৭টি কর্পূরও (Camphor)। প্রদীপটি জ্বালিয়ে সেই আগুনে কর্পূরের পাশাপাশি মশলা এবং তেজপাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর কর্পূর ও মশলা পোড়ার গন্ধ এবং তাপ ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিতে হবে। আর প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রীতি পালন করা হলে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমন ঘটবে।
তেজপাতার ব্যবহার:
মনে করা হয়, তেজপাতা পোড়ানো হলে সেটা থেকে যে ধোঁয়া (Smoke) বেরোয়, সেই ধোঁয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক নিংসৃত হয়। যা মানুষের মধ্যে শান্তির অনুভূতি এনে দেয়। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ নার্স অ্যানেস্থেটিকস (American Association of Nurse Anesthetists)-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী, লিনালুল (Linalool)-এর প্রভাব যাঁদের উপর ছড়িয়ে যায়, তাঁদের মধ্যে সামাজিক ভাবে মেলামেশার ইচ্ছে জাগ্রত হয়। আবার এ-ও বলা হয় যে, ১০ মিনিট ধরে তেজপাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলেও একই অনুভূতি আসবে।
আরও পড়ুন- সুস্থ শরীরে অনেক দিন বাঁচতে চান? সন্ধ্যা ৭টা বেজে গেলে এই খাবারগুলো খাবেন না
লবঙ্গের ব্যবহার:
লবঙ্গ এমন একটি মশলা, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এর ফলে মানবদেহ ফ্রি র্যাডিক্যালস-এর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করে। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই সুগন্ধি মশলার (Spice) গুরুত্ব অসাধারণ। কারণ এই মশলা ঘরে উপস্থিত অশুভ শক্তি দূর করতে দারুণ কার্যকর। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, লবঙ্গ যদি কর্পূরের সঙ্গে পোড়ানো হয়, তা-হলে তা ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবও নষ্ট করে এই টোটকা। এখানেই শেষ নয়, কিছু বাস্তু বিজ্ঞানীদের মতে আবার, লবঙ্গ-কর্পূর পোড়ানোর ধোঁয়া যদি শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়, তা-হলে তা দেহের ইমিউনিটি বাড়ায়।