বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল অত্যন্ত সুন্দর। সেই কারণেই বছরের পর বছর ধরে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের প্রিয় ঠিকানা পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জঙ্গলমহল। জঙ্গল বেষ্টিত একটা ড্যাম। সম্ভবত বাঁকুড়ার সবচেয়ে সুন্দর ড্যাম। নৌকোয় করে ঘুরলে তো ভুলেই যাবেন কোথায় পৌঁছে গিয়েছেন। শীতের পিকনিকের মরশুমে হোক কিংবা বর্ষায় ফাঁকায় ফাঁকায় যদি অ্যাডভেঞ্চার চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে বাঁকুড়ার এই ড্যামে। মানুষের ভিড় নেই বললেই চলে। দক্ষিণ বাঁকুড়ার একেবারে শেষ প্রান্ত। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সবুজ জনপদ ঝিলিমিলি। বিরাট বিরাট সব শাল, শিমূল, মহুয়া গাছে ছাওয়া ঝিলিমিলির প্রকৃতি আপনাকে শান্তি দেয়। কথায় আছে গ্রীষ্মেও যেন ঝিলিমিলির বাতাস মিষ্টি। বর্ষায় মধুর।
advertisement
বাঁকুড়া শহর থেকে ঝিলিমিলির দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার, মুকুটমণিপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার। ঝিলিমিলি থেকে সোজা চলে আসতে হবে, রাইতারা গ্রাম। সেই গ্রামের পাশেই রয়েছে বিশাল একটি জঙ্গলবেষ্টিত জলাধার, নাম তালবেড়িয়া। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে হল সুতান, বারো মাইল জঙ্গল। বাঁকুড়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রানিবাঁধ। সেখান থেকে ঝিলিমিলি যাওয়ার রাস্তা ধরে বারোমাইলের জঙ্গল পেরিয়ে ১৩ কিলোমিটার গেলেই সুতান। এই জায়গায় সভ্য মানুষের যাতায়াত কম। কান পাতলে শোনা যায় জঙ্গলের ফিসফিসানি। এখানে দেখতে পাবেন একটি ওয়াচ টাওয়ার এবং বাংলো।
জঙ্গলমহল মূলত যে মহকুমায় অবস্থিত সেটি হল খাতড়া মহকুমা। খাতড়া মহকুমায় রয়েছে বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুর। সেই মুকুটমণিপুরে পেয়ে যাবেন মুসাফিরানা, ডিয়ার পার্ক। মুকুটমণিপুরের অদূর এই অবস্থিত রয়েছে অম্বিকানগর রাজবাড়ি। সবমিলিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল এক দুর্দান্ত জায়গা, যেটা ভুলেও মিস করবেন না কিন্তু।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





