বাঁকুড়ার অন্যতম জনপদ বেলিয়াতোড়, এখানেই রয়েছে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের নামাঙ্কিত কলেজ ও তাঁর বসত ভিটে। বাঁকুড়া-সোনামুখী যাওয়ার মাঝে এক প্রত্যন্ত গ্রাম ছাঁন্দার। এটি বেলিয়াতোড় থেকে মাত্র তিন কিলো মিটার দূরত্বেই। ছাঁন্দার গ্রামে অবস্থিত অভিব্যক্তি। সোনামুখী বাঁকুড়া রোড হয়ে যদি যাতায়াত করেন, আর যদি এই অভিব্যক্তি না দেখেন, তাহলে বড় মিস।
advertisement
অভিব্যক্তি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন ছাঁন্দার গ্রামেরই বাসিন্দা উত্তম পান। তিনি বলেন অভিব্যক্তি তৈরি হয় ১৯৭৮ সালে। উৎপল চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন ছাঁন্দারের কলেজে। সেই সময় ছাঁন্দার গ্রামের বাসিন্দা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উৎপল চক্রবর্তীকে বলেছিলেন, ”আপনি এই গ্রামের জন্য কিছু একটা করুন। আমি জায়গা দিচ্ছি!” তার পরই উৎপল চক্রবর্তীর ভাবনা-চিন্তায় এই অভিব্যক্তি গড়ে উঠেছে! এখন এটি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ। এই অভিব্যক্তি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভাস্কর্য, বিভিন্ন আর্টের কাজ, বিভিন্ন কাঠের কাজ, পাথরের কাজ, মাটির কাজ, বেল মালার কাজ-সহ নানা কারুকার্য। অভিব্যক্তির প্রত্যেকটি দেওয়ালে রয়েছে যামিনী রায়ের বিভিন্ন ছবি যা দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। বিভিন্ন শিল্পীদের বিভিন্ন হাতের কাজ রয়েছে এই গোল ঘরে!