আর যদি আনকোরা এক বছর শুরুই হয় বাড়িতে বানানো কুকি দিয়ে? যিনি বানাবেন আর যাঁরা খাবেন, তাঁদের বছর জমে যাবে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে কী করতে হবে—
আরও পড়ুন: মাছ খেতে ভালবাসেন? এদিকে জালে উঠছে না পমফ্রেট, ভোলা, ইলিশ! বিপদ মৎস্যজীবীদের, কী হল হঠাৎ!
advertisement
নো-বেক কুকি—
বেকিং-এর কথা দিয়ে শুরু করলেও প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক নো-বেক কুকি কাকে বলে। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটি আসলে এক ধরনের ছদ্ম-কুকি, যা তৈরি করতে সাধারণত ওভেন বেকিং-এর প্রয়োজন হয় না। মূলত ক্যান্ডিবার বা কিনে আনা কুকি ভেঙেই তৈরি করে ফেলা যায়।
প্রেসড কুকি—
এই ধরনের কুকির জন্য ময়দা মাখা অংশটি একই সঙ্গে হতে হবে নরম অথচ, তার মধ্যে একটা দৃঢ়তাও থাকবে। যদি খুব নরম মাখা হয় তা হলে তা কিছুক্ষণ রেফ্রিজারেটরে রেখে দিলে আবার খুব শক্ত হয়ে গেলে তার মধ্যে একটু ডিমের কুসুম ভেঙে দিলেই হয়ে যাবে। এবার কুকি গান দিয়ে নিজের মনের মতো আকারে গড়ে বেক করে নিলেই তৈরি প্রেসড কুকি।
আরও পড়ুন: কল আছে তবে জল নেই, চাপড়ার এই গ্রামে বাড়ি বাড়ি কল বসলেও জল পড়ে না কেন!
রোলড বা কাটআউট কুকি
রোলড কুকি বানানোর জন্য একটু শক্ত ডো লাগে। রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা করে নেওয়া যেতে পারে। তারপর রোল করে নিয়ে পছন্দ মতো আকারে কেটে নিলে বেক করে ফেলতে হয়।
স্যান্ডউইচ কুকি—
রোলড বা প্রেসড কুকির ডো দিয়ে এই কুকি বানিয়ে ফেলা যায়। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে উপরে নিচে কুকি আর মাঝখানে গানাশ, জ্যাম, বা মার্শমেলো ক্রিম কিংবা পিনাট বাটারক্রিম দিয়ে বেক করে নেওয়া হয়। কুড়মুড়ে বা নরম— যে কোনও কুকির ভিতরেই থাকতে পারে হালকা ক্রিমের আস্তরণ।
ড্রপড কুকি—
ড্রপড কুকি বানানোও খুব সহজ। বেকিং শিটের উপর ছোট ছোট ডো ফেলে ফেলে যেতে হবে। তবে দু’টি ড্রপের মধ্যে ফাঁক রাখতে হবে। কারণ বেকিং-এর পর সেগুলি ফুলে ফেঁপে উঠবে, সে জায়গা রাখা দরকার।
বার কুকি—
নাম থেকেই বোঝা যায় এর ধরন। একটি সরু পাত্রে এই কুকি একসঙ্গে বেক করা হয়। তারপর ছোট ছোট করে কেটে নেওয়া হয়। নরম বা খাস্তা, যে কোনও রকম হতে পারে। বেস, টপিং বা ফিলিংসেও থাকতে পারে নিজের পছন্দের উপকরণ।