আদা
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আদার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ নরম হয়। আদা অন্ত্রের নিচের অংশে চাপ কমিয়ে দেয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেই সমস্যা দূর হয়। এছাড়া পেট ফাঁপলে বা পেট ফুলে গেলেও আদা কাজে দেয়। বিভিন্ন রান্নায় আদা ব্যবহার করা যায়, আবার আদা চা পান করা যেতে পারে।
advertisement
গরম জল
গরম জল হজমের সমস্যা দূর করে এবং শরীর থেকে সব বিষ বের করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যদি কেউ ঠাণ্ডা জল পান করে তাহলে পাচন শক্তি ধীর গতির হয়ে যায় এবং বিভিন্ন পাচক রস নিঃসরণও কমে যায়। এগুলো হলে স্বাভাবিক ভাবেই মেটাবলিজম ও ধীর গতির হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। ঠাণ্ডা জল পান করলে পেট ফুলে যেতে পারে বা ক্লান্তি আসতে পারে। কিন্তু গরম জল হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং মূত্রাশয় পরিষ্কার রাখে।
ডুমুর
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানে ডুমুর খুব কাজে আসে। সারারাত ডুমুর ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলে খুব কাজে দেয়। ডুমুরে থাকে এক বিশেষ ধরনের উপাদান। এই উপাদানের নাম ফিকিন যা পেটে কৃমির আক্রমণ রোধ করে। তাছাড়া ডুমুর পেটের মধ্যে গিয়ে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টের মতো কাজ করে এবং পেট ঠান্ডা রাখে।
কালো কিশমিশ
কালো কিসমিসকে সুপার ফুড বলা যেতে পারে। এতে প্রচুর ডায়েট ফাইবার আছে। এছাড়াও এতে আছে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন ইত্যাদি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চার-পাঁচটা কালো কিসমিস সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন চিবিয়ে খেতে হবে।
আরও পড়ুন : কমলালেবুকে ইংরেজিতে কিন্তু মোটেও ‘Orange’ বলে না! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক জবাব
জোয়ার
জোয়ার গ্লুটেন-মুক্ত, প্রোটিন, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, আয়রন এবং আরও অনেক কিছু সমৃদ্ধ। এটি গমের চেয়ে হজম করা সহজ। জোয়ার মেটাবলিজমও বাড়ায়।