উৎসবের মরশুমে অনেক সময় খেলাধূলা করতে গিয়ে দরজা এবং জানলার মাঝে আটকে যেতে পারে বাচ্চাদের হাত। আর দরজা-জানলার পাল্লা বন্ধ হয়ে গেলেই বিপত্তি। শিশুর হাতের আঙুল ভেঙে যেতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে দরজা কিংবা জানলায় হাত দেওয়া উচিত। সেটাই শেখাতে হবে শিশুদের। যখন এই ধরনের দুর্ঘটনার জেরে চোট লাগে, তখন সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থানের চিকিৎসা করতে হবে। আর হ্যান্ড সার্জনের চিকিৎসায় তা পুরোপুরি সেরে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- বড়সড় বিপাকে পড়েছেন ইমন চক্রবর্তী, ওপার বাংলা থেকে সাহায্য চাইলেন গায়িকা, হঠাৎ হলটা কী?
আরও পড়ুন- ‘আমি যদি বিয়ে করতে চাই…’ ললিত মোদিকে নিয়ে বিস্ফোরক সুস্মিতা! মুখ খুলতেই তোলপাড়
মহিলাদের ক্ষেত্রে উৎসবের মরশুমে হাতে চোট লাগার অবশ্য আরও একটি কারণ রয়েছে। আর সেটা হল মিক্সার গ্রাইন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসতর্কতা। ত্রুটিপূর্ণ ঢাকনার কারণে আঙুল ভিতরে চলে যেতে পারে। এর ফলে জায়গাটি কেটে-ছড়ে যেতে পারে। এমনকী অবস্থা গুরুতরও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আঙুল কেটে বাদ পর্যন্ত যেতে পারে। তাই ডা. গোলাশ এই বিষয়গুলির উপর মনোযোগ দেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি জটিলতা এড়ানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদেরও হাত সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। কারণ তাঁদের আঙুল, টেন্ডন এবং স্নায়ুর উপরে ক্রমাগত চাপ পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ক্রনিক হতে থাকে। এই বিষয়ে ডা. গোলাশের পরামর্শ, কাজের মাঝে বিরতি নিতে হবে এবং সঠিক কায়দায় বসে কাজ করা উচিত। এতে সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
এর পাশাপাশি ফ্যান গ্রিল, এসক্যালেটর এবং কোলাপসিবল গেট থেকেও হাত দুর্ঘটনাগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য জরুরি সচেতনতা এবং সঠিক শিক্ষা। এই বিষয়ে ডা. অনুপম গোলাশ বলেন, আনন্দ-উৎসব উদযাপনের আগে নিরাপত্তার কথাই আগে ভাবা উচিত। এতে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দে এবং নিরাপদে উৎসব পালন করা যাবে। এই সংক্রান্ত ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। কীভাবে হাতে চোট লাগতে পারে, আর সেটা থেকে বাঁচার উপায়, এগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। রান্নাঘরে কাজ করার সময় অন্যমনস্ক হওয়া চলবে না। সেই সঙ্গে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে হবে।