মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
অশ্বগন্ধা একটি ভেষজ উদ্দীপক, এটি সাধারণত অনিদ্রা এবং স্নায়ুর চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। পারকিনসন এবং আলজাইমারের মতো স্নায়ুর রোগের চিকিৎসায়ও এটির কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি অশ্বগন্ধা শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিশক্তি কমে গেলে উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আলসার প্রতিরোধ করে
advertisement
অশ্বগন্ধা শারীরিক সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী। যা গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধ করতে করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের আলসার প্রতিরোধ করে, ব্যথার প্রতিক্রিয়া থেকে স্নায়ুতন্ত্রকে আরাম দেয়।
পেশির বৃদ্ধিতে সহায়ক
রোজকার ডায়েটে অশ্বগন্ধা রাখলে পেশির উন্নতি হয়। লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, অশ্বগন্ধা সাধারণ দুর্বলতা, পেশিশক্তি এবং স্নায়ুর উন্নতিতে কার্যকর বলে প্রমাণিত।
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়
অশ্বগন্ধা পুরুষদের প্রজননের জন্যও উপকারী। এনএমআররের গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকলে অশ্বগন্ধা প্রজনন হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্য এনে শুক্রাণুর মানের উন্নতি করে।
বিভিন্ন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে
অশ্বগন্ধা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা যেমন ব্রেন স্ট্রোক, প্রস্টেট এবং ফুসফুসের ক্যানসার সহ সমস্ত ক্যানসার, বিশেষ করে শেষ পর্যায়ের ক্যানসারের চিকিৎসায় খুবই উপকারী।
এই ভেষজটির একাধিক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা রয়েছে। সেই কারণেইএটি বেশিরভাগ ভারতীয়পরিবারে নানা সমস্যায় একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসার জন্য অশ্বগন্ধা খুবই উপকারী। তাই বিবিধ উপকারিতার জন্যে আমাদের অবশ্যই ডায়েটে অশ্বগন্ধা রাখা উচিত।
তবে একটা কথা ভুললে চলবে না। যেহেতু এটি ওষধি, তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে সেবন করলে তবেই অশ্বগন্ধা কাঙ্ক্ষিত দিক থেকে শরীরকে ভালো রাখবে। সবার জন্য এর মাত্রা সমান না-ও হতে পারে। তাই কোন সমস্যায় কতটা খেতে হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।