যাদের ভিটামিন ডি (Vitamin D) এর অভাব রয়েছে তাদের ত্বক এবং হাড় থেকে হরমোন পেতে সমস্যা হতে পারে, যা বাত, হৃদরোগ, মানসিক অসুস্থতা এবং অন্ধত্বের মতো অসুখের জন্য় দায়ী হতে পারে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই 'প্রমিস ডে', দেখে নিন কী শুভেচ্ছাবার্তা দেবেন কাছের মানুষটিকে...
advertisement
এবার আসা যাক ভিটামিন ডি (Vitamin D) কীভাবে আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করে এবং এটি গ্রহণের উপকারিতা কী?
ভিটামিন ডি দুই ধরনের। প্রথম, ভিটামিন ডি 2, যাকে এরগোক্যালসিফেরল (Ergocalciferol) বলা হয়, এটি মাশরুমে পাওয়া। দ্বিতীয়, ভিটামিন D3, যা Cholecalciferol নামেও পরিচিত, এই ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: আজ টেডি দিবস, জেনে নিন কোন রংয়ের টেডির কী অর্থ...
ভিটামিন ডি-এর অভাব শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে দুর্বল হাড় ও দাঁত, ত্বক ও অভ্যন্তরীন অঙ্গের সমস্য়া, ঘুমের অসুবিধা, ক্ষীণ দৃষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং আরও অনেক কিছু।
সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি অপরিহার্য। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ আইইউ ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষের দৈনিক প্রয়োজন ৬০০-৮০০ IU ভিটামিন।
ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস সূর্যরশ্মি। পাশাপাশি খাদ্যের উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত খাবার এবং পানীয়, ডিম, সামুদ্রিক খাবার, পনির, মাখন এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ তেল।
ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখের ঝুঁকি কমায়। তাই আপনার যদি ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি থেকে থাকে, তবে দেরি না করে আজই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।