TRENDING:

শীতে বাড়ে মেয়েদের রাগ! তথ্য রিসার্চে

Last Updated:

নারীদের মন বোঝা ভগবানের সাধ্য নয়, তো আপনি কোন ছাড়! কিন্তু ভগবানের অসাধ্য কর্ম সাধন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক রিসার্চে দেখা গিয়েছে, মেয়েদের রেগে যাওয়ার পিছনে দায়ী এই আরামের শীত। ব্যাপারটা একটু হালকা করি বরং, শীতের সময় দিন হয় ছোট, আর এই ছোট হওয়া দিনই মেয়েদের হরমোনে শুরু করে গোলযোগ, আনে অদ্ভুত পরিবর্তন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নিউইর্য়ক: হাড়কাঁপানো শীত আসতে বেশ দেরি। বাতাসে এখন হেমন্তের হাল্কা আমেজ। এমন আবহাওয়াতে মনটাও বেশ ফুরফুরে। ভাবছেন এরকম আমেজে গার্লফ্রেন্ড বা বউকে নিয়ে একটা লংড্রাইভে যাবেন, তারপর ফেরার সময় মাল্টিকুইজিন রেস্তোঁরায় ডিনার। কিন্তু এই কারণে-অকারণে আপনার বউ বা গার্লফ্রেন্ডের তিরিক্ষি মেজাজে মুডটা যাচ্ছে চটকে। ভাল কথা বললেও মুখঝামটা। তা হলে? প্ল্যান ক্যানসেল! দাঁড়ান একটু ৷ গার্লফ্রেন্ড বা বউয়ের এরকম অকারণে রেগে যাওয়া, আসলে এর পিছনে রয়েছে কেমিক্যাল লোচা!
advertisement

কথায় বলে, নারীদের মন বোঝা ভগবানের সাধ্য নয়, তো আপনি কোন ছাড়! কিন্তু ভগবানের অসাধ্য কর্ম সাধন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক রিসার্চে দেখা গিয়েছে, মেয়েদের রেগে যাওয়ার পিছনে দায়ী এই আরামের শীত। ব্যাপারটা একটু হালকা করি বরং, শীতের সময় দিন হয় ছোট, আর এই ছোট হওয়া দিনই মেয়েদের হরমোনে শুরু করে গোলযোগ, আনে অদ্ভুত পরিবর্তন। মেলাটোনিন নামক হরমোন মেয়েদের মধ্যে একটা ‘মরসুমি আগ্রাসন’ জাগিয়ে তোলে। এই হরমোন সরাসরি প্রভাব ফেলে অ্যাড্রেনালিন গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত ডিএইচইএ হরমোনের ওপর। এই হরমোনের ‘কেমিক্যাল লোচা’-তেই আপনার গৃহিণীর মেজাজ গরম, গলা স্বর উচ্চে !

advertisement

রিপোর্ট বলছে, শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের পরিমাণ অন্ধকারে বাড়ে আর দিনের আলোয় টুক করে কমেও যায় । তাই শীতের সময় দিন ছোট হওয়ায় শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের হার থাকে বেশি। অন্যদিকে, অ্যাড্রেনালিন গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হয় ডিএইচইএ হরমোন। যেটা একধরনের সেক্স স্টেরয়েডও বটে। রিসার্চে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের কোনওরকম মধ্যস্থতা ছাড়াই মেলাটোনিন হরমোন, ডিএইচইএ হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই ডিএইচইএ হরমোন এন্ড্রোজেন অথবা ইস্ট্রোজেনে পরিণত হতে পারে। এই দুই হরমোন-এন্ড্রোজেন এবং ইস্ট্রোজেন মহিলা ও পুরুষের উষ্মা নিয়ন্ত্রণ করে।

advertisement

সাইবেরিয়ান হ্যামস্টারস পাখীদের অ্যাড্রিনাল সিস্টেম আমাদের মতো। মেয়ে সাইবেরিয়ান হ্যামস্টারস পাখীদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, কম সময় দিনের আলোয় থাকা পাখীগুলির শরীরে মেলাটোনিন এবং ডিএইচইএ হরমোনের হার বেশি এবং ওরা বাকিদের থেকে বেশি আগ্রাসী এবং হিংসাত্মক। কিন্ত একই অবস্থায় থাকা ছেলে সাইবেরিয়ান হ্যামস্টারস পাখীদের মধ্যে এরকম কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি।

advertisement

এই শীতে কালপ্রিট ওই হরমোন। প্রেমিকা বা গৃহিনীর সঙ্গে এই মিঠে-কড়া শীতে কমলালেবু খেতে খেতে রোম্যান্টিক ট্রিপ অথবা লেপের উষ্ণ আলিঙ্গনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত উপভোগের মাঝে হঠাৎ করেই নেমে আসতে পারে হরমোনের খাঁড়া। দোষ কিন্তু সঙ্গিনীকে দিতে পারবেন না। অন্যদিকে প্রমীলাবাহিনীর অ্যাডভান্টেজ, মনের সুখে গায়ের ঝাল ঝাড়ুন আর সব দায় চাপিয়ে দিন হরমোনের ঘাড়ে। এত কিছু পড়ার পরে প্রতিবাদের টুঁ-শব্দও বেরবে না। ওই যে কথায় আছে, ‘কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ’।

advertisement

প্রতিবেদন: এলিনা দত্ত

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতে বাড়ে মেয়েদের রাগ! তথ্য রিসার্চে