বহু প্রাচীন বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো হয়েছিল গড়জঙ্গলের এই শ্যামারূপা মন্দিরে বলে দাবি মন্দিরের সেবায়েতের।দুর্গাপুজোয় এখানে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। সেখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম। রাজা সুরথ সেখানে দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন বলে কথিত আছে। এলাকাটি একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ। সবুজ জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত মন্দির চত্বর প্রকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। জনশ্রুতি আছে কৃষ্ণভক্ত কবি জয়দেব ওই মন্দিরে এসে শ্যাম রূপে দেবী দুর্গার দর্শন পেয়েছিলেন, সেই থেকেই মন্দিরের নাম শ্যামরূপা মন্দির হয়। ওই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস।
advertisement
মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি ওয়াচ-টাওয়ার। ওই ওয়াচ-টাওয়ারে চড়লে দেখতে পাবেন ঘন জঙ্গলের একটি ওভারভিউ।যা সত্যিই মনমুগ্ধকর। মন্দিরের সেবায়েতের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করলে শ্যামরূপার ভোগও পাবেন।ওই মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার জঙ্গল পথে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে হরিণের। সেখানে রয়েছে ইছাই ঘোষের প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন একটি মন্দির ও দেউল থিম পার্ক। সেখানে রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে সুন্দর একটি কটেজ।শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য আছে খেলাধুলার সরঞ্জাম। জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করতে করতে হঠাৎই মিলবে ময়ূরের দেখা। ঐতিহাসিক স্থান ও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের অ্যাডভেঞ্চার এক্কেবারে অন্য স্বাদের।
আরও পড়ুন : সরষের তেলে জাস্ট ২ চামচ মিশিয়ে ১০ মিনিট চুলে ম্যাসাজ…১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু! বন্ধ পাকা চুল! কালো হবে সাদা চুল!
কলকাতা থেকে ট্রেনে চড়ে কয়েক ঘণ্টায় পৌঁছে যান দুর্গাপুর রেলস্টেশনে৷ সেখান থেকে জয়দেব ঘাট যাওয়ার বাসে চড়ে আসতে পারেন। তবে জঙ্গল এলাকায় সচরাচর টোটো অটো মেলে না। তাই নিজস্ব চারচাকা অথবা কোনও গাড়ি রিজার্ভ করে আসায় সুবিধাজনক। আবার কলকাতা থেকে বাসে করে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া স্টপেজে নামতে পারেন।সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে মাত্র ১৮ কিলোমিটারের মধ্যেই শ্যামরূপা মায়ের মন্দির। তবে ব্যাক্তিগত চারচাকা গাড়ির ভ্রমণের সুখটা আলাদা হবে বৈকি।