তবে, মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত হলেও ছত্তীসগঢ়েও অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান অবস্থিত। এর মধ্যে একটি হল কাওয়ার্ধায় অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির। মাইকাল পর্বতমালার মাঝখানে একটি সবুজ উপত্যকায় নির্মিত, এই মন্দিরটি খাজুরাহো এবং কোণার্কের সূর্যমন্দিরের মতো, তাই এটিকে ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো’-ও বলা হয়। একাদশ শতাব্দীতে, নাগবংশীয় রাজা গোপালদেব ভগবান শিবের উপাসনার জন্য এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।
advertisement
শান্ত পরিবেশের মাঝে অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির পর্যটকদের শান্তি এবং বিশ্বাস উভয়েরই অনুভূতি দেয়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভক্তদের এক ভিন্ন আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করে। সেইসঙ্গে শিল্পবোধকে তৃপ্ত করে অপরূপ ভাস্কর্য। মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা ভাস্কর্যগুলি মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই কারণে একে ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো’ বলা হয়ে থাকে।
মূল মন্দির বা ভোরামদেবের গর্ভগৃহে স্থাপিত প্রাচীন কালো পাথরের শিবলিঙ্গ এই স্থানের পবিত্রতা এবং ঐতিহাসিকতা প্রতিফলিত করে। প্রতিদিন শত শত ভক্ত এখানে শিবের পূজা করতে আসেন। প্রায় ৫ ফুট উঁচু বেদির উপর নির্মিত এই মন্দিরটি ৬০ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট প্রস্থের। মণ্ডপের মাঝখানে চারটি এবং পাশে ১২টি স্তম্ভ স্থাপত্যের ভারসাম্য এবং শক্তির প্রতীক।
মন্দিরের কাছে অবস্থিত প্রাচীন পুকুরটিও এই স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। জনশ্রুতি আছে যে এর নীচে আরও একটি মন্দির রয়েছে, যা আজও রহস্যময়। পর্যটকদের জন্য পুকুরে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সময় কাটানো যেতে পারে, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। এই জায়গাটি পিকনিকের জন্যও আদর্শ।