কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হলেও গবেষকদের দাবি সত্যি হলে এটা যুগান্তকারী আবিষ্কার হতে চলেছে৷ ‘এয়ার প্রোটিন’ (Air Protein) নামে এক স্টার্ট আপ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাতাস থেকে মাংস তৈরির অসাধ্যসাধন করেছে৷
সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর লিজা ডায়াসন একজন পুরস্কারজয়ী পদার্থবিদ৷ প্রাণিজ মাংসের বিকল্প খুঁজে পেতে তিনি সাহায্য করেছেন এই আবিষ্কারে৷ বাতাস থেকে প্রোটিন সংশ্লেষ করে তাকে মূল উপকরণ হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে এই পরিকল্পনায়৷ কিছু মাইক্রোবস ব্যবহার করে কার্বনডাইঅক্সাইডকে রূপান্তরিত করা হয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিডে৷ সেভাবেই পাওয়া গিয়েছে প্রোটিন পাউডার৷
advertisement
আরও পড়ুন : তারিখেই লুকিয়ে সংখ্যামাহাত্ম্য! সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসীরা স্মরণীয় করে রাখতে চান এই মঙ্গলবারকে
পরবর্তীতে পরীক্ষার পরের ধাপে পাউডার থেকে তৈরি করা হয়েছে মণ্ড৷ তার পর সেটাই অপ্রাণিজ মাংসে রূপন্তরিত হয়েছে৷ ডক্টর লিজার মতে এটি খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ ছয়ের দশকে নাসা-র পরীক্ষা অনুসরণ করেই তৈরি হয়েছে এয়ার প্রোটিন৷ সেই পরীক্ষায় চেষ্টা করা হয়েছিল কীভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে খাদ্য আহরণ করতে পারেন মহাকাশচারীরা৷
আরও পড়ুন : প্রতিদিনের রান্নায় পেঁপে থাকে? জেনে নিন পেঁপে বেশি খাওয়া কত ক্ষতিকর
আরও পড়ুন : উদ্ভিজ্জ মাংস বা ভেগান মিট তৈরি এবং বিক্রিতে সামিল পশুপ্রেমী বিরুষ্কা
‘হাইড্রোজেনোট্রোপস’ নামের এই মাইক্রোবস আবিষ্কার করেছিল নাসা৷ উপযুক্ত পরিবেশে বাতাসের কার্বনডাইঅক্সাইডের সংস্পর্শে এলে তৈরি হয় অ্যামিনো অ্যাসিড৷ যদিও গবেষণার শেষে এর থেকে সম্পূর্ণ অন্য জিনিস তৈরি করেছে এই সংস্থা৷ ফার্মান্টেশনের পর সম্পূর্ণ নতুন একটি উপাদান পাওয়া গিয়েছে৷ ডাইসেনর দাবি, এই বাতাস-মাংস দামে কম হবে এবং প্রাণিজ মাংসের থেকে এর স্থায়িত্বও হবে দীর্ঘদিনের৷