গত কয়েক বছর ধরে, দীপাবলিতে চকোলেট এবং ড্রাই ফ্রুটের চাহিদাও বেড়েছে। এই ক্ষেত্রেও অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের নকল চকোলেট ও ড্রাই ফ্রুট বিক্রি শুরু করে। ড্রাই ফ্রুটকে তাজা এবং ভাল দেখাতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রাসায়নিক রঙও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কারণে দীপাবলিতে মিষ্টি বা চকোলেট কেনার সময় সাবধান হওয়া উচিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এলপিজির নতুন নিয়ম, বছরে কটা সিলিন্ডার পাবেন গ্রাহকরা? মাসের জন্য কোটাও নির্ধারিত
কেন বাড়ছে ভেজাল মিষ্টির ব্যবসা?
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সব কিছুর দাম বেড়েছে। মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন দুধ, ঘি, ছানা, চিনি এবং ময়দা সহ সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে মিষ্টি তৈরির খরচও বেড়েছে। এই কারণে অনেক মিষ্টি ব্যবসায়ী ভেজাল দুধ, মেওয়া বা ক্ষীর ও ঘি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় কারণ হল, উৎসবের মরসুমে চাহিদা বেশি থাকায় মিষ্টি কেনার গ্রাহকরা গুণাগুণের দিকে খুব একটা নজর দেন না। যা পাওয়া যায়, তাই খরিদ করেন। এই সুযোগের ব্যবহার করে উৎসবের সময় বেশি লাভ করার জন্য ভেজাল মিষ্টির ব্যবসা বেড়ে যায়।
যাচাই করে মিষ্টি কেনা উচিতঃ
ভেজাল মিষ্টি বা অন্যান্য যে কোনও ভেজাল খাবার আমাদের শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ভেজার খাবারের কারণে বেশিরভাগ মানুষই পেটের রোগে ভোগেন। এই জাতীয় নিম্ন মানের খাবার খেলে লিভার ফুলে যাওয়া, ফুড পয়জনিং এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যা বেশি হয়। এই কারণে মিষ্টি কেনার সময় সতর্ক থাকা উচিত এবং ভেজাল না ভাল তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে দাম, ভাইফোঁটায় নতুন স্বাদের মিষ্টি বিকলো ঝড়ের গতিতে
ভাল এবং চেনা বিশ্বস্ত দোকান থেকেই মিষ্টি কেনার মিষ্টি কেনা উচিত। অস্থায়ী দোকান বা রাস্তার পাশের দোকান থেকে কোনও খাবার নেওয়া উচিত নয়। উৎসবের সময় রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় যারা সস্তায় মিষ্টি বিক্রি করে থাকে। সস্তা মিষ্টির ফাঁদে পড়া উচিত নয়। মিষ্টি কেনার আগে অবশ্যই তার গন্ধ শুঁকে দেখা উচিত এবং প্রয়োজন হলে একটি মিষ্টি খেয়ে দেখে উচিত। ভেজাল বা নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধের পার্থক্য রয়েছে। একবার খেলেই গ্রাহক তা বুঝতে পারবেন। একই ভাবে, চকোলেট কেনার সময় প্যাকেজিং ভাল ভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। অনেক সময় বড় বড় বিখ্যাত ব্র্যান্ডের প্যাকেজিং নকল করে একই রকম দেখতে চকোলেট পাওয়া যায়। ভাল ভাবে প্যাকেট যাচাই করলে আসল ও নকলের পার্থক্য বোঝা যাবে। একই ভাবে ড্রাই ফ্রুট কেনার সময় তার গন্ধ এবং স্বাদ যাচাই করে নিশ্চিত করা উচিত যে গ্রাহক ভেজাল ফল কিনছেন না।
ছানা বা ক্ষীর কীভাবে চেনা যাবে?
উৎসবের সময় অনেকেই বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করতে পছন্দ করেন। মিষ্টি তৈরিতে মেওয়া বা ক্ষীর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাজারে আসল ও নকল, দুই রকমেরই মেওয়া পাওয়া যায়। তবে খাঁটি ছানা, মেওয়া চেনার অনেক উপায় রয়েছে। মেওয়ার মধ্যে অল্প চিনি দিয়ে গরম করলে যদি দেখা যায় যে জল ছেড়ে যেতে শুরু করেছে, তবে বুঝতে হবে তা নকল। অন্য দিকে, আসল ছানা মুখে দিলে তা লেগে থাকবে না। এছাড়া আসল ছানা ঘষতে শুরু করলে ঘিয়ের গন্ধ আসে এবং ছানার সুগন্ধ অনেকক্ষণ পর্যন্ত থেকে যায়।
কোথায় অভিযোগ করা যাবে?
গ্রাজক ভেজাল বা নিম্নমানের মিষ্টি বা অন্য যে কোনও খাদ্য সামগ্রীর বিষয়েও অভিযোগ করতে পারবেন। এই জন্য গ্রাহককে মিষ্টি বা কেনা খাবারের বিল রাখতে হবে। একজন গ্রাহক ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন নম্বর ১৯১৫-এ ফোন করে এই সংক্রান্ত তাঁর অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভেজাল মিষ্টি এবং অন্যান্য নকল খাবারের অভিযোগের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে।