সাফিনার এক ছেলে এবং এক মেয়ের জন্ম দেওয়ার ঘটনাকে ‘মিরাক্যল’ বলে আখ্যা দিয়েছে উগান্ডার সংবাদমাধ্যম৷ এই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে উইমেন্স হসপিটাল ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ফার্টিলিটি সেন্টারে৷ হাসপাতালের তরফেও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখেছে ‘‘আমরা সাক্ষী থেকেছি অত্যাশ্চর্য ঘটনার-আফ্রিকার বৃদ্ধতম মা ৭০ বছর বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন৷’’
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক এডওয়ার্ড টেমেল স্যালি বলেছেন যে সাফিনা তাঁর পার্টনারের শুক্রাণু এবং একজন ডোনারের ডিম্বাণুর সাহায্যে যমজ সন্তানের মা হয়েছেন৷ গর্ভধারণের ৩১ সপ্তাহের মাথায়, নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁর দুই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে৷ এখন দুই নবজাতক ইনকিউবেটরে সুস্থ অবস্থায় আছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে৷
advertisement
মা হওয়ার যাত্রাপথ বিশেষ সুখকর ছিল না বৃদ্ধার কাছে৷ শারীরিক কষ্ট, সমস্যার পাশাপাশি ছিল মানসিক টানাপড়েনও৷ তাঁর অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর পার্টনার একবারের জন্যেও তাঁকে দেখতে আসেননি৷ গত ৩ বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মা হলেন সাফিনা৷ এর আগে ২০২০ সালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি৷
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি বাঁধাকপি খাওয়া ভাল না ক্ষতিকর? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
কিন্তু কেন বার্ধক্যে পৌঁছে মা হওয়ার জন্য এত আগ্রহ? সাফিনা জানিয়েছেন সারাজীবন সন্তানহীনা থাকার জন্য এত শ্লেষের মুখে পড়েছেন, এত সামাজিক চাপ সহ্য করেছেন, যে তিনি মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে মেনোপজ বা ঋতুবন্ধ হয়ে যায় মহিলাদের৷ অর্থাৎ তাঁর মা হওয়ার মেয়াদও ফুরিয়ে আসে৷ কিন্তু অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান সেই বাধা দূর করেছে৷ বিশেষ করে আইভিএফ-এর মতো ট্রিটমেন্ট মাতৃত্বের নির্ধারিত সময়ের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে৷