করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা এখন কমবেশি সকলের জানা। সোশাল ডিস্টেন্সিং বা পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চললেও কমানো যায় সংক্রমণের আশঙ্কা। কিন্তু ঠিক কতটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে? চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত ৬'ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেই কমানো যাবে সংক্রমণের আশঙ্কা। কিন্তু, করোনা ঠেকাতে দু'জনের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব কি যথেষ্ট? ৬ ফুটের দূরত্ব মানলেই ঠেকানো যাবে সংক্রমণের আশঙ্কা?
advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যা বলছেন, তাতে সোশাল ডিস্টেন্সিং নিয়ে এতদিনের সব ধারণাই পালটে যাবে। গবেষকদের দাবি, করোনা ঠেকাতে '২ গজ কি দূরি' যথেষ্ট নয়। কারণ হাঁচি-কাশি থেকে বেরোন ড্রপলেট ১২ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
এই গবেষণাটি করেছেন দু'জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক, মনোহর ধনক ও সিদ্ধার্থ ভার্মা। তাঁরা জল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে কৃত্রিম ড্রপলেট তৈরি করেছেন। তারপর সিমুলেশনের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষাটি করেছেন। কিন্তু খালি চোখে ড্রপলেট দেখা সম্ভব নয়। তাই লেজার লাইট ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। গবেষণায় ধরা পড়েছে, হাঁচি বা কাশি থেকে বেরোন ড্রপলেট, ২ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ৩ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে। ১২ সেকেন্ডের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্বে পৌঁছতে পারে, ৪১ সেকেন্ডের মধ্যে ৯ ফুট দূরে যেতে পারে ড্রপলেট আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১২ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে ভারী ড্রপলেট।
ইতালির গবেষকরা দাবি করেছেন, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাধ্যমে অনেক দূর পর্যন্ত ভেসে বেড়াতে পারে করোনার SARS-CoV-2 ভাইরাস। এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনীদের গবেষণাতেও উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা একধাক্কায় ওলটপালট করে দিচ্ছে এতদিনের সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের ধারণাকেই।