TRENDING:

Medical Tests for Women|| সুস্থ থাকতে তিরিশের কোঠায় মহিলারা নিয়মিত কোন পরীক্ষা করাবেন? জানুন

Last Updated:

Medical Tests for Women: বেঙ্গালুরু রিচমন্ড রোড ফর্টিস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ওবেস্টেট্রিশিয়ান এবং গাইনিকোলজিস্ট ডা. গীত মোনাপ্পা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতাঃ যৌবন হল প্রকৃতির দান। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও জটিল হতে থাকে। কারণ এই সময় নানা রকম রোগের রক্তচক্ষু উঁকি দিতে থাকে। তবে ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ করলেই জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠবে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন একটা বয়স হল তিরিশ। ফলে তিরিশের কোঠায় পা দেওয়া মাত্রই মহিলাদের এই কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত। এমনটাই জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরু রিচমন্ড রোড ফর্টিস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ওবেস্টেট্রিশিয়ান এবং গাইনিকোলজিস্ট ডা. গীত মোনাপ্পা।
তিরিশের পরে মহিলাদের জরুরি শারীরিক পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
তিরিশের পরে মহিলাদের জরুরি শারীরিক পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
advertisement

প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট:

মহিলাদের মধ্যে সার্ভিক্যাল ক্যানসার রয়েছে কি না, তা নির্ণয় করার জন্যই এই পরীক্ষা করা আবশ্যক। ডাক্তারদের পরামর্শ, ২১ বছর বয়স হওয়া মাত্রই মহিলাদের প্রতি তিন বছর অন্তর এই টেস্ট করানো উচিত। যা ৬৫ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত করে যেতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মাতৃত্বের সফর হোক নিরাপদ, সুন্দর ভাবে আসুক সন্তান! ফিটাল মেডিসিনের এই বিষয়গুলো অবশ্যই জানুন

advertisement

ডা. গীত মোনাপ্পা

এইচপিভি টেস্টিং:

বয়স তিরিশ পার করলেই প্যাপ স্মিয়ার টেস্টের পাশাপাশি এইচপিভি টেস্টিং করানোও জরুরি। এতে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে কি না, তা ভাল ভাবে বোঝা যাবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে। পাঁচ বছর অন্তর এই পরীক্ষা করালেও হবে।

advertisement

ম্যামোগ্রাম:

অনেক মহিলার মধ্যেই স্তন ক্যানসার বা ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায়। বিশেষ করে বিআরসিএ ১ এবং ২ মিউটেশন থাকলে তার জন্য বছরে এক বার অন্তত ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট পরীক্ষা করা উচিত। তার সঙ্গে স্তনের ম্যামোগ্রাম এবং এমআরআই করা উচিত। এটা করতে হবে তিরিশ পার করার পরে। এমনটাই মত আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির। আবার যে-সব মহিলার গড় ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের ৪০ থেকে ৪৫ পেরোনোর পরেই বার্ষিক ম্যামোগ্রাম করাতে হবে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বাংলার প্রথম শতাব্দী প্রাচীন সরস্বতী মন্দির রয়েছে এই জেলাতে, চলছে পুজোর প্রস্তুতি

ফার্টিলিটি এবং প্রি-প্রেগনেন্সি ইভ্যালুয়েশন:

ফার্টিলিটি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আর এটাই তার সঠিক সময়। কুড়ি পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে ডিম্বাণু নষ্ট হতে শুরু করে। আর তিরিশের পর অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই যাঁরা দেরিতে প্রেগনেন্সি পরিকল্পনা করতে চাইছেন, তাঁদের আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যে-সব মহিলা সন্তান চান, তাঁদের প্রি-প্রেগনেন্সি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। তার জন্য কয়েকটি সুগার, থাইরয়েড ইত্যাদি পরীক্ষা করাতে হবে। রুবেলা ভ্যাকসিন নেওয়াটা এই সময় খুবই জরুরি।

advertisement

লিপিড প্রোফাইল:

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ, কুড়ি পার করার পর থেকেই প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর অন্তর লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা আবশ্যক। সেই সঙ্গে অবশ্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং নিয়মিত এক্সারসাইজও করে যেতে হবে।

থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট এবং কমপ্লিট হিমোগ্রাম:

মৃদু অ্যানিমিয়া এবং ক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও থাইরয়েড প্রোফাইল জানা আবশ্যক। এতে চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করা সম্ভব।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কুড়ি কিংবা তিরিশে পা রাখার সময় থেকেই এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করালে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায় এবং জীবনও অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Medical Tests for Women|| সুস্থ থাকতে তিরিশের কোঠায় মহিলারা নিয়মিত কোন পরীক্ষা করাবেন? জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল