আজও এই হোটেলে খাবার বানান এক মহিলা, একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে, ঘরোয়া উপকরণে। মাটির ঘরে ধোঁয়া ওঠা হাঁড়ি থেকে যখন তরিতরকারির গন্ধ বাইরে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মনে হয় যেন কারও বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছি।হোটেলে নেই কোনও চেয়ার-টেবিল, নেই আধুনিক সাজসজ্জা, তবুও আছে অন্যরকম টান। মাটির মেঝেতে বিছানো আসনে বসে খাওয়া, এই ঐতিহ্য আজও অটুট। আধুনিকতার ছোঁয়া বলতে শুধু অনলাইন পেমেন্ট! দুপুরে বা রাতে এখানে খেতে এলে আপনার সামনে সাজানো থাকবে জল, লেবু, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা…আর পাতে পরিবেশন হবে, ভাত, ডাল, সঙ্গে নানা ঘরোয়া রান্না।
advertisement
আরও পড়ুন : সবুজের মাঝে বিরল বন্য পশু ও পাখিদের সেরা ঠিকানা! কলকাতার কাছেই হারিয়ে যান ছুটির ফাঁদে
স্বাদ যেন নিজের বাড়ির রান্না, সরল, তৃপ্তিকর, হৃদয় ছোঁয়া। চারপাশের পরিবেশও মুগ্ধ করে। মাটির গন্ধ, কোলাহলের বাইরে শান্ত এক আবহ, যেন পুরনো দিনের কোনও স্মৃতি ফিরে আসে। এই হোটেলের আসল শক্তি তার সরলতা আর মানুষের ভালবাসা। তিন পুরুষ ধরে এই একই রীতি, একই স্বাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে এসেছে ঘোষ পরিবার।আজও দুপুর হলেই দেখা যায় লাইন দিচ্ছে মানুষ। কেউ আসে নস্টালজিয়ার টানে, কেউ আসে মাটির ঘরের আদর পেতে, আর কেউ আসে শুধু সেই ঘরোয়া স্বাদের জন্য।
চেয়ারে নয়, দোকানে নয়, মাটির মেঝেতে আসনে বসে খাওয়ার এই রেওয়াজ আজও হাজার হাজার মানুষের প্রিয়। সময় যতই আধুনিক হোক, এই হোটেলের স্বাদ, পরিবেশ আর আচারের সরলতা মানুষকে আজও টেনে আনে। গোবিন্দপুরের এই প্রাচীন ‘গয়লা হিন্দু হোটেল’ শুধু একটি হোটেল নয় এ এক চলমান ইতিহাস। এক টুকরো নস্টালজিয়া। মাটির গন্ধে ভেজা মানুষের গল্প।