অতীতে পশু এনক্লোজার মানুষের ঢুকে পড়ার ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাই বাঘ-সিংহের এনক্লোজার গুলিতে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে জালগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। চিড়িয়াখানার ভিতরে জালগুলোকে শুধু উঁচু করা নয়, অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করা এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সর্বত্র মুড়ে ফেলা হবে। এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনমন্ত্রীর।
advertisement
উল্লেখ্য,কয়েক বছর আগে বিরল প্রজাতির মার্মোসেট চুরি হয়ে গিয়েছিল চিড়িয়াখানা থেকে। এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন বলেই খবর। শুধু আলিপুর চিড়িয়াখানা নয়, শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্কের পরিকাঠামোর উন্নয়নেও জোর দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই তা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী।
এদিন বন দফতরের আধিকারিক এবং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। চিড়িয়াখানাগুলির আধুনিকীকরণে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন নতুন প্রাণী আনার যেমন পরিকল্পনা রয়েছে, তেমন সুন্দরবন থেকে বাঘ আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বন দফতর।তবে করোনা আবহে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে জন সাধারণের জন্য বন্ধ চিড়িয়াখানা। কবে খোলা হবে, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চিড়িয়াখানা খুললেও মানুষের সুরক্ষার বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা যাবে না। চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রান্তে বসতে চলেছে ডাস্টবিন।
Amit Sarkar