সেই সূত্রেই এ রাজ্যের দু জন সাংসদ জায়গা পেয়েছিলেন সেই দলে। তাঁরা হলেন তৃণমূল সাংসদ ইউসূফ পাঠান ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু ইউসুফ পাঠান-সহ কোনও সাংসদকেই না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। কেন? তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আদালতে হাতজোড় করে কুণাল ঘোষ, ‘আমি কিছু বলতে চাই’, বিকাশরঞ্জনের মামলায় হাইকোর্টে বিরাট কাণ্ড
advertisement
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ফরেন ডেলিগেশনে তৃণমূলের কেউ যাচ্ছেন না, সেটা নয়। কিন্তু দলীয় ভাবে বিষয়টি জানানোই হয়নি। শুধু পার্লামেন্টারি পার্টিকে জানানো হয়েছে। যেটা সেশনে প্রযোজ্য। কিন্তু এটা তো সেই সাংসদের দলের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের চয়েস নয়। তবে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করছি।”
প্রসঙ্গত, JDU-র সাংসদ সঞ্জয়কুমার ঝায়ের নেতৃত্বাধীন দলে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম ছিল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা দেশের এবং জাতীয় স্বার্থরক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে রয়েছে। কিন্তু ইউসূফ পাঠান যাচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু দলের তরফে কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা নিয়ে তৃণমূলই সিদ্ধান্ত নেবে। বিদেশ নীতি একান্তভাবেই কেন্দ্রের বিষয় এবং এটা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ ভাবে তাদেরই দায়িত্ব।
অভিষেক বলেন, ”আমি স্পষ্টভাবে বলছি, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, যার লক্ষ্য জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, তার জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা, তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে”।