বাড়ি গুজরাতের রাজকোটে। জামশেদপুরে ম্যানেজমেন্ট পড়তেন হর্ষ বালানি। অথচ, শনিবার, শহরের অভিজাত হোটেলের ডিলাক্স রুম থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ।
পুরো ঘটনাটি একনজরে--
- ৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় ধর্মতলার হোটেলে চেক ইন করেন হর্ষ বালানি ৷
- ১৪০৭ নম্বর ঘরে ছিলেন হর্ষ ৷
- চেক ইনের পর বৃহস্পতিবার হোটেলেই ব্রেকফাস্ট করেন হর্ষ ৷
advertisement
- হোটেলের ঘর থেকে বেরোতে দেখা যায়নি হর্ষকে ৷
- শুক্রবার গভীর রাতে হর্ষের দেহ মেলে টয়লেট থেকে ৷
- মিলেছে হর্ষের খালি ব্যাগ ও কিছু ব্যথা উপশমের ওষুধ
প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করতে পারেন হর্ষ। শনিবারই, কলকাতায় আসে হর্ষের পরিবার। একই দাবি তাঁদেরও।
কিন্তু, কী থেকে মানসিক অবসাদ? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। এই প্রসঙ্গেও উঠে আসছে বেশ কয়েকটি তথ্য ৷ কলকাতার হাতেগোনা কয়েকজন হর্ষের পরিচিত ছিলেন ৷ কিন্তু, পরিচিতদের কেউই হোটেলে দেখা করতে আসেননি ৷ খালি ব্যাগ নিয়েই কলকাতায় আসেন হর্ষ ৷ শুক্রবার রাতে, হর্ষের খোঁজখবর নিতে হোটেলে ফোন আসে তাঁর কলেজের তরফে ৷ কিন্তু কেন ফোন আসে ? তবে কি হর্ষের মানসিক অবস্থার কথা কি কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বন্ধুরা জানত ?
কিন্তু, মানসিক অবসাদ বুঝতে পেরেও কেন হর্ষকে একা একা ছেড়ে দেওয়া হল? নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই কি কলকাতা এসেছিল হর্ষ? সেসব প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।