ট্যুইটারে মমতা লেখেন, ‘কলকাতার তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের মৃত্যুর খবর হৃদয় বিদারক। সাংবাদিকতার জগৎ আজ এক ক্ষুরধার বুদ্ধির সাংবাদিককে হারিয়েছে। আমি তাঁর পরিবার, প্রিয়জন এবং সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে বলেন, "তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের অকাল প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের জানাই গভীর সমবেদনা।"
advertisement
হুগলির সিঙ্গুরে জন্ম স্বর্ণেন্দুর। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিল না। তরুণ, নির্ভীক সাংবাদিককে দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁর পারিবারিক পরিস্থিতির চাপ। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৭ সাল থেকে কলকাতা সংবাদমাধ্যমে কাজ করতে শুরু করেছিলেন স্বর্ণেন্দু। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবরের জায়গায় গিয়ে স্বর্ণেন্দুকে দেখা যাবে না, এমনটা সচরাচর হত না। নিজের দক্ষতা, পরিশ্রমের কারণে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৭! বীরভূম জুড়ে তুমুল ধরপাকড়ে সিবিআই
২০১৪ সালে স্বর্ণেন্দুর শরীরে বিরল ক্যানসার ধরা পড়ে। শরীরে মারণ রোগের অভিঘাতের পরেও দমেননি দামাল ছেলেটি। কখনও দিঘার উত্তাল সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের খবর করেছেন, কখনও আবারও ‘স্পটে’ দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইভ। কিন্তু গত বছর নভেম্বর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বর্ণেন্দুকে। পরবর্তীতে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার সকালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বর্ণেন্দু।