ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের সামনেই রয়েছে অটো স্ট্যান্ড। মেট্রোয় যে ভাড়ায় ৫ টাকা দিলেই একটা স্টপেজ চলে যাওয়া যায় সেখানে সেই ভাড়া ১০ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে অনেকটাই। অটো চালকদের বক্তব্য, "বেশি ভাড়া নেওয়া হয় না। যেমন খরচ সেই হিসেবেই ভাড়া ঠিক করা হয়। এখন মেট্রো চালু হলে দেখতে হবে আমাদের রুটে কি করা যায়।" তবে যাত্রীদের বড় অংশ জানাচ্ছেন তারা মেট্রো সফর করবেন। অদ্রিজা বিশ্বাস সেক্টর ফাইভে চাকরি করেন। তিনি জানাচ্ছেন, "বেলেঘাটায় থাকি। ফুলবাগানে এসে মেট্রো নিয়ে নেব। আরামদায়ক যাত্রা। ১৫ মিনিটে অফিস চলে যাব।" একই বক্তব্য প্রিয়ব্রত জানার। তিনি জানাচ্ছেন, "আমি ফুলবাগানে থাকি। এখান থেকে করুণাময়ী যেতে আমার ৪০ টাকা খরচ হত। আসতে আবার ৪০। সেই খরচ আমার অনেক কমে যাবে। সময় ও বাঁচবে।" সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম অবধি মেট্রো পরিষেবা আগেই চালু হয়েছে।
advertisement
তবে এই পথে যাত্রী অনেকটাই কম। ফুলবাগান বা শিয়ালদহ চালু হয়ে গেলে যাত্রী বাড়বে বলে আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল মেট্রো। দ্রুত সেই কাজ শেষ করে কে এম আর সি এল। ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন যাত্রী পরিবহণের জন্যে চালু হয়ে গেলে। পূর্ব কলকাতার এই অংশে প্রথম কোন স্টেশন চালু হবে। এই এলাকার মানুষের যাতায়াতে সুবিধা বাড়বে৷ আগামীদিনে অত্যন্ত সহজে একদিকে শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন বা এসপ্ল্যানেড চলে যেতে পারবে। অন্যদিকে সহজেই যেতে পারবে সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী। ফলে যাত্রী পরিষেবার মাধ্যমে লাভ হবে মেট্রোর। কে এম আর সি এল আধিকারিকরা আশ্বস্ত বোধ করছেন শীঘ্রই অনুমতি এসে যাবে। দীর্ঘ ২৬ বছর পরে ফের পাতাল প্রবেশ হবে নতুন মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের।