ইয়াসে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে ১২ কিমি ও ৫.৬৫ কিমি সমুদ্র বাঁধ ও বাকি ২৭৫.৭০ কিলোমিটার নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এর মধ্যে যেগুলি ছোট ছোট বাঁধ আছে, সেগুলো শুক্রবার থেকেই মেরামত করা শুরু হয়ে যাবে আর বাকি যেগুলি আছে সেগুলি জল কমার পর শুরু হবে।
advertisement
জলসম্পদ মন্ত্রী বলেন, 'এই বাঁধ গুলি মেরামত করতে মোট ১৫৭ কোটি টাকা খরচ হবে। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনাতেও বিপুল পরিমাণে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেচ দফতরের প্রধান সচিব নবীন প্রকাশের তত্ত্বাবধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে।
এদিন নবান্নে সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই বাঁধ ভাঙা নিয়ে সেচ দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। সেচ দফতরের সচিবকে ভর্ৎসনার পাশাপাশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন সেচ দফতরের সচিব নবীন প্রকাশকে মমতা প্রশ্ন করেন, 'দিঘায় পুরো বাঁধ কী ভাবে ভেঙে গেল? বাঁধ তৈরি করতে এত সময়ই বা কেন লাগছে? টাকা তো কম নিচ্ছে না। সব টাকা কি জলে ঢালছি? এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।'