লালদিঘীর পাড়ে এই স্টেশন তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। যে সংস্থা এই কাজ করছে তাদের দাবি, কয়েকদিনেই শেষ হয়ে যাবে এই স্টেশনের কাজ। ২৪ মিটার গভীর হতে চলেছে এই স্টেশন। যেহেতু হেরিটেজ জোনে এই স্টেশন হতে চলেছে, তাই সমস্ত হেরিটেজ ভবন রক্ষা করেই চলছে স্টেশন গড়ার কাজ। আগে যেখানে বিবাদী বাগ মিনিবাস স্ট্যান্ড ছিল এখন সেখানেই চলছে এই কাজ। ঢোকা বা বেরোনোর জন্য মুল যে গেট হতে চলেছে তা দেখতে হচ্ছে কারেন্সি বিল্ডিংয়ের ধাঁচে। কারেন্সি বিল্ডিং জাতীয় হেরিটেজ ভবন হিসাবে পরিচিত। তাই স্টেশনের নকশায় প্রধান গেট এমনটাই হতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ৬ মার্চ; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
মোট তিনটি ধাপ থাকছে এই স্টেশনের। প্রথম তলা ব্যবহার হবে সাবওয়ে হিসাবে। কারণ মহাকরণ চত্বর বা হেমন্ত বসু সরণী সদা ব্যস্ত একটা রাস্তা। সাবওয়ে হয়ে গেলে, রাস্তা পারাপারের প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে যানজট বা ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের বিপরীত ফুটপাথে ও পাওয়ার টুলস ভবনের কাছের গেট ব্যবহার হবে সাবওয়ে হিসাবে। ফলে মহাকরণ থেকে লালবাজার রাস্তা পেরোতে হবে না। দ্বিতীয় তলা অবশ্য পুরোটাই পেড জোন। এখানে টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে স্টেশন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে। সেখান থেকে চলে যাওয়া যাবে প্ল্যাটফর্মে।
এই স্টেশনে হতে চলেছে আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম। এক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের দুটি দিক আপ ও ডাউনের জন্য ব্যবহার হবে। স্টেশনে থাকছে ৪টি এসক্যালেটর, ২টি লিফট। যেহেতু হাই সিকিউরিটি জোন তাই থাকছে ৫ খানা ফায়ার এক্সিট। রাইটস মতো কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে এই স্টেশনে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০,০০০ যাত্রী যাতায়াত করবেন। ফলে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই চলছে স্টেশন গড়ার কাজ। গোটা স্টেশন সাজানো হবে বিভিন্ন ম্যুরাল দিয়ে। তাতে থাকবে মহাকরণের ইতিহাস। থাকবে বিনয় বাদল ও দীনেশের গল্প। এ ছাড়া হেরিটেজ ভবনগুলির গল্প সাজানো থাকবে এই স্টেশন জুড়ে।