রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর আগামী কয়েক বছরেই শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে আরও ১০০০টি পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাস (Eco Friendly Bus in Kolkata)। সেগুলি চলবে কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বাস ডিপো থেকে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে বাসগুলি। বর্তমানে কলকাতায় একাধিক বৈদ্যুতিক বাস বা ই-বাস চলে। গত তিন বছর থেকে শহরে নামা ই-বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এমনকি খুব প্রশংসিত হয়েছে বিদেশের দরবারে। তাই পরিবহণ ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব এই বাস নামাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দফতর। ইতিমধ্যেই চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে এই ধরনের বাস বাড়ালে পরিকাঠামোগত দিক থেকে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি সোলারাইজড বাস ডিপো তৈরি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে।
advertisement
একদিকে শহরের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অন্যদিকে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে বছর খানেক আগে কলকাতায় চালু হয়েছিল ইলেকট্রিক বাস। যা শুরুতেই জনপ্রিয় হয় কলকাতায়। কলকাতার সেই ই-বাস পরিষেবা আন্তর্জাতিক দরবারে স্বীকৃতিও জিতে নেয়। আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ এজেন্সির ২০২০-এর গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকল আউটলুক (জেভো) রিপোর্ট প্রকাশিত হয় প্যারিসে। দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে ওই রিপোর্টে।
চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগোর সঙ্গেই চতুর্থ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক শহরের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে কলকাতা।পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুৎদপ্তরও ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক গাড়ি (ই-কার) পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছে। বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম রোজ বাড়ছে। ফলে গাড়ি চালানোর খরচও বাড়ছে রোজ। সেই সঙ্গে রয়েছে দূষণ। সব দিক মাথায় রেখে ওই দপ্তর ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছিল।