কলকাতা পুরসভার শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থে মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেয় কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরের বাইরে থাকায়। বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেন। এদিন ৭ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুরসভার প্রধান দপ্তরে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সিটু অধীনস্ত কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর সদস্যরা পুরসভার মধ্যেই শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এদিন তারা দুপুর ২ টো নাগাদ তাদের দাবি দাওয়া কে সামনে রেখে বিক্ষোভ অবস্থানে কর্মসূচি পালন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এটিএম-এর মধ্যে ATM মেশিনই নেই! বাগদায় চাঞ্চল্যকর চুরি, রহস্যভেদ পুলিশেরও
কেএমসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ৭ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মত কলকাতা পুরসভার শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করে তাদেরকে হেলথ স্কীমের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তারা। কেএমসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ সরকার বলেন, পুর শ্রমিক কর্মচারী দের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ সেইসব সুযোগ সুবিধা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রদান করা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভায় যাদের বোর্ড, রাজ্যে তাদেরই সরকার রয়েছে। অথচ পুর কর্মীদের দের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বামপন্থী এই শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রতন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, হচ্ছে হবে, করছি করব, শুধুই আশ্বাস দিচ্ছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অন্তর্বতী জামিন শেষ, জেলে ফেরার আগেই মারাত্মক ঘটনা ছত্রধরের সঙ্গে! ভর্তি হাসপাতালে
কিন্তু সমস্যা সমাধানে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন তারা। রতন বাবু বলেন, আমরা শ্রমিক কর্মচারী দের দাবি দাওয়া নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছি। এর আগেও বারবার এসেছি। কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শ্রমিক কর্মচারী দের ন্যায্য অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে যদি কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায়ভার কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।