বন্দর কলকাতার একমাত্র আসন৷ যে আসনের জয় নিয়ে এক জনও এমন কেউ নেই যার মধ্যে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। কিন্তু ভোট মিটতেই রাজনীতির খবর থেকে আপাতত দূরে থাকতে চান তিনি। ববির সহাস্য উত্তর, "এই ৬২ বছর বয়সে, আর টেনশন নিতে ভালো লাগছে না। আমি টেনশন কাটাতে মুন্নাভাই এম বি বি এস দেখতে ভালো বাসি। এর মধ্যেও ১১ বার দেখে ফেলেছি। এবার আবার দেখব। সাথে আমার হ্যালো ব্রাদারের অর্ধেক দেখা বাকি আছে। আমি আগেও দেখেছি। কিন্তু যতবার দেখি, ততবার আমার ভালো লাগে।" রাজ্যের বাকি প্রার্থীরা যখন টেনশনে কি হবে কি হবে করে সময় কাটাচ্ছেন বা বলা ভালো অনেকে বলছেন তার নাকি সময় কাটছে না সেই সময় ব্যতিক্রমী একমাত্র তিনিই। কেন হব না ব্যতিক্রমী? পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। তার কথায়, "আমি সারাবছর মানুষের পাশে থাকি। আমি এলাকার প্রতি মানুষের কাছে থাকি। এলাকার প্রতি মানুষের কাছে পৌছই। তারাও আমাকে সুখে দুঃখে পান। আমি ভোট পাখি নই। তাই আমার ভোট, ভোটে জেতা তা নিয়ে আমার কোনও সংশয় নেই।" নিজেই একাধিকবার বলেছেন, তার লড়াই তার নিজের স্বার্থে। তার লড়াই প্রতিবার মার্জিন বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে। আর সেই লক্ষ্য তার পূরণ হয়েছে বলেই মত কলকাতা বন্দরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমের। সিনেমা দেখা, ক্লাবে বসে আড্ডা দেওয়া, নাতনির সাথে খুনসুটি সবই চলছে-চলবে।
advertisement
এর পাশাপাশি অবশ্য তিনি নজর দিচ্ছেন বা খোঁজ নিচ্ছেন করোনা নিয়ে। তার ভোট হয়ে গেলেও, একাধিক জায়গা থেকে ফোন আসছে বেড চাই, অক্সিজেন চাই, টিকা চাই। সবার কথা ধৈর্য্য ধরে শুনছেন আবার একই সাথে ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন। ফলে ভোট মিটলে তারকা প্রার্থী বা সিনিয়র নেতা মন্ত্রীরা নানা ভাবে সময় কাটালেও হাসির উপাদান আর বিপদের সময় মানু্ষকে সাহায্য করা। এই দুইয়ে মিলিয়েই রয়েছেন চেতলার ববি, থুড়ি তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম।