ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। ওই দিন বিকেল চারটে পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ পূর্বনির্ধারিত পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক ৩৬ জন বিধায়কের মধ্যে গরহাজির ছিলেন ১০ জন। আসেননি সুদীপ রায় বর্মন এবং তাঁর শিবিরের অনেকেই। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ক্ষোভ বিক্ষোভের আবহে এই বৈঠক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ডেকেছিলেন আসলে শক্তি বুঝে নিতে। এই বৈঠকে কী ভাবে উন্নয়নমুখী কাজের প্রচার আরও বাড়ানো যায় এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সুদীপ শিবিরের অনেকেই এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, অসম সফরে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে সুদীপ নিজের বিপ্লব বিরোধী মনোভাব ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দিল্লিও ঘুরে এসেছেন সম্প্রতি।
advertisement
শুক্রবারের বৈঠকে যে ২৬ জন এসেছিলেন তাদের নিয়েও যথেষ্ট জল্পনা রয়েছে। ত্রিপুরার নানা দৈনিকে চর্চা এই বৈঠকের আগে-পরে নাকি জনাকয়েক বিধায়ক যীষ্ণু দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি নিয়েও কিছুক্ষণ আলোচনা করেন। যদিও এ খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে একথা পরিষ্কার, সুদীপ শিবির এটাই চাইছে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, সুদীপ চাইছেন বিপ্লব শিবিরকে চাপে রাখতে। এই কারণেই খোলাখুলি পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ ভাবে সুদীপ শিবির ধীরে ধীরে দলে ঘুণ ধরালে বিজেপির সংকট আসন্ন। সুদীপ যদি দলবল নিয়ে বিজেপি থেকে বেরিয়ে যান তাহলে ত্রিপুরা সরকারও ভেঙে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সচেতন রাজ্য বিজেপি এবার চাইছে সুদীপ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তৎপরতাতেই। সব মিলিয়ে তাই জমজমাট ত্রিপুরার গেরুয়া শিবিরের অন্দরের টানাপোড়েন।