TRENDING:

রাজ্যপালের তলবে যাবে যাদবপুর ? চিঠি দিয়ে রাজ্যের মতামত চাইলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস

Last Updated:

গত ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে বেনজির সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
SOMRAJ BANDOPADHYAY
advertisement

#কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে ? অন্তত এমনই আভাস আগামী ৬ জানুয়ারি যাদবপুরের উপাচার্যকে রাজ্যপালের তলবকে ঘিরে। ৬ জানুয়ারি রাজ্যপালের তলবে যাবেন নাকি তা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরের মতামত চাইলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত সোমবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কেন এত বিশৃঙ্খলা তা জানতে চেয়ে উপাচার্যকে ডেকে পাঠানোর চিঠি যায় রাজভবন থেকে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুর। তবে দফতরের তরফে কোনও মতামত না এলে রাজ্যপালকে একপ্রকার এড়িয়ে যাওয়া হতে পারে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠির এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর না আসায় ফের উপাচার্যকে ৬ জানুয়ারি আসার জন্য আবারও চিঠি দিতে পারেন রাজ্যপাল বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

advertisement

গত ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে বেনজির সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল। গত ২৩ ডিসেম্বর সমাবর্তন নিয়ে আলোচিত কোর্ট বৈঠকে ঢুকতে বাঁধা পাওয়া। শুধু তাই নয়, কোর্ট বৈঠকে ঢুকতে গেলে পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন খোদ রাজ্যপাল। উপাচার্য ও আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রকার আলোচনা করেই যাদবপুর ছাড়তে হয়েছিল রাজ্যপালকে। সেই কোর্ট বৈঠক বাতিল করে রাজভবনে কোর্ট বৈঠক করার কথা উপাচার্যকে বলেন রাজ্যপাল। কিন্তু শেষমেশ কোর্ট বৈঠক যাদবপুর এই শেষ করা হয়। শুধু তাই নয়, ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে শিক্ষা কর্মীদের একাংশের বাঁধায় সমাবর্তনে যোগ দিতে পারেননি রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেট পর্যন্ত এসেও তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় ফোনে। শেষমেষ সমাবর্তনে ঢুকতে না পেরে ফিরে যেতে হয় রাজ্যপাল কে। উপাচার্যের সভাপতিত্বেই সমাবর্তন শুরু হয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

গত সপ্তাহেই সুরঞ্জন দাসকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। গত ৩০ ডিসেম্বর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের ৬ জানুয়ারি তলব করে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের তলবে রাজভবন যাবেন নাকি তা নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সুরঞ্জন দাস। সে নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের মতামত চাইলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা, আচার্যের ক্ষমতা সম্পর্কে নয়া বিধি জারি করেছে রাজ্য। সেখানে আচার্য চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। উচ্চ শিক্ষা দফতর মারফত যোগাযোগ করতে হবে। তাই উচ্চ শিক্ষা দফতরের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর কোনও উত্তর না এলে আচার্যকে একপ্রকার এড়িয়ে যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্যপালের তলবে যাবে যাদবপুর ? চিঠি দিয়ে রাজ্যের মতামত চাইলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল