#কলকাতা: পরাণ যায় জ্বলিয়া রে...অটো সওয়ারি হয়ে এমন গান অনেকেই শুনেছেন। বয়জ্যেষ্ঠ উঠলে মুহূর্তে কমে যায় ভলিউমটা।
নগর জীবনের এখন অনেকটা জুড়েই এই অটো। অটোচালকরাও অজান্তেই আমাদের ভ্রাম্যমান প্রতিবেশী হয়ে উঠেছে। কড়েয়ার অতিপরিচিত অটোচালক মোহাম্মদ গুড্ডু। তাঁর জীবনে প্রেম ছিল। পরাণের সঙ্গীকে নিয়ে সংসারও বেঁধেছিল। সুখের সংসারে হঠাৎই একদিন ছন্দ কাটল।
advertisement
খোঁজ খোঁজ স্ত্রীকে। কিন্তু স্ত্রীকে খুঁজে পায়না গুড্ডু। কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করল। অটোচালকের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। সময় যায় তবু কোনও সূত্র হাতে আসে না। হঠাৎই গুড্ডুর মোবাইলে এল ফোন। ফোনের উপরে নম্বর তাঁর স্ত্রীর!
গুড্ডু বিস্মিত এবং একইসঙ্গে আতঙ্কিত হল। ফোনের ওপার থেকে তখন শাসনি, হুমকি। তাঁর বউকে খতম করার হুমকি। এমন কাণ্ড জেনে কিছুটা ঘাবড়ে যায় পুলিশ। মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে এগোতে থাকে পুলিশ। আর সেই সূত্র ধরে এগোতেই শিয়ালদার একটি লজে ওঠে তদন্তকারীরা।
গুড্ডুর স্ত্রী'র সঙ্গে সেখানেই দেখা মেলে দিল্লির এক যুবকের। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কার্যত প্রেমের ইউটার্ন। গুড্ডুর স্ত্রী এবং দিল্লির যুবক দুজনই এক সঙ্গে জানালো, পারিবারীক গণ্ডগোলের জেরে তাঁদের শিয়ালদহের লজে থাকা। কড়েয়া থানা যদিও অপহরণের অভিযোগে দিল্লির যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পুর কাহিনীর নেপথ্যে আর কেউ জড়িত কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।