কিন্তু ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত সময় সীমা বাড়ালেও এখনও সব জেলা ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারল না। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করতে পারলে রাজ্যের বরাদ্দ অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিতে হবে। এই সতর্ক করে জেলাগুলিকে ফের কড়া বার্তা দিল নবান্ন। শনিবারই নবান্নের তরফে জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি তালিকা অনুমোদন নিয়ে বলেই সূত্রের খবর।
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর আবাস যোজনার অধীনে চলতি আর্থিক বর্ষে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩১৭ বাড়ির তালিকার। অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ সামান্য বেশি অনুমোদন হয়েছে গত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর তাই এই ক'দিনের মধ্যে বাকি তালিকা অনুমোদন না করলে রাজ্যের দেওয়া টার্গেট অন্য রাজ্য নিয়ে নেবে বলে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৭১ টি বাড়ির অনুমোদন বাকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্যুইট করে আত্মঘাতী প্রাক্তন বিজেপি কর্মী, ঘর থেকে উদ্ধার স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহও!
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আগুন, বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ হারালেন চিকিৎসক দম্পতি-সহ একাধিক কর্মী!
এর মধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীনে ৭৩.৮১ শতাংশ, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮৪.৪৪ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৯০ দশমিক ৯১ শতাংশ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৯৪.২৩ শতাংশ বীরভূম জেলায় ৯৫.০৯ শতাংশ নদীয়া জেলায় ৯৫.০৯ শতাংশ কোচবিহার জেলায় ৯৫.১২% অনুমোদন হয়েছে। সবথেকে বেশি অনুমোদন এসছে বাঁকুড়া জেলায়।
এই জেলায় এখনো পর্যন্ত তালিকার ৯৯.৩০ শতাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনার বাড়ির তালিকায়।তবে সব থেকে বেশি বাড়ির অনুমোদন বাকি রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ওই জেলায় ৭০০০ এরও বেশি বাড়ি তৈরির তালিকা অনুমোদনের বাকি রয়েছে। আর তাই এদিন নবান্নের তরফে জেলাগুলিকে ফের সতর্ক করা হয়েছে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির তালিকার অনুমোদন নিয়ে বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত আবাস যোজনার বাড়ি তৈরীর অনুমোদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই দিয়েছে রাজ্যকে। যার জন্য কেন্দ্রের তরফে ৮২০০ কোটি টাকার দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা রিলিজ করেনি কেন্দ্র রাজ্য কে। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রক ফের চিঠি দিয়ে রাজ্যকে বলেছে আগের দেওয়ার টাকার হিসাব দিতে হবে।
না হলে পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া যাবে না। সেই চিঠির সঙ্গে কয়েকশো পাতার প্রশ্নমালাও পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। কেন্দ্রের তরফে অর্থ না আসায় বাড়ি তৈরীর কাজ এখনো শুরু করতে পারিনি রাজ্য। তবে বাড়ি তৈরির তালিকার ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করে রাখতে চাইছে রাজ্য। আর তার জন্যই এদিন ফের জেলাগুলিকে সতর্ক করে বার্তা দেওয়া হল নবান্নের তরফে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়