দলের তরফেও ব্যবস্থা করা হয় বিভিন্ন জায়গাতে তাঁদের থাকা খাওয়ার। এবং খাওয়ার হিসেবে মেনুতে থাকে ডিমের ঝোল আর গরম ভাত। এই কর্মসূচির অন্যতম জনপ্রিয় খাবারও এই ডিম-ভাত। কোনও পরিবর্তন না করে প্রতিবছর একই ভাবে এই মেনুই চলে আসছে। আর দলের কর্মী সমর্থকেরাও তৃপ্তি করে চেটেপুটে এই খাবারই খেয়ে চলেছে। তবে এই নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কটাক্ষ করে থাকে। তবে এ সব উড়িয়ে দলের তরফে কোনওদিন না এই মেনুর পরিবর্তন করা হয়েছে, না কর্মী সমর্থকদের তরফে এটা পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ টন টন ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে! হুড়মুড়িয়ে কমছে দাম! বিক্রি হচ্ছে কত টাকায়?
প্রতিবারের মতো এ বার একুশের কর্মসূচিতে এসেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এ বারের একুশে স্বাভাবিক ভাবে উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তাই কর্মসূচির বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই কলকাতামুখি হয়েছে মানুষ। কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কর্মী সমর্থকদের রাখার ব্যবস্থা করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। যার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তিনি জানান, এ বারে ২০-২৫ হাজার লোকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং খাওয়ানোর জন্য ডিম ভাতেরই আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঘনীভূত নিম্নচাপ বাড়াচ্ছে আশঙ্কা! ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, হাওয়া অফিসের সতর্কতা
এ দিন কিচেনে গিয়ে দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের জন্য ভাতের সঙ্গে সোয়াবিন-আলুর তরকারি এবং ডিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুশান্ত ঘোষ জানান, “দলের নির্দেশেই ডিম-ভাত। ডিম-ভাত, সোয়াবিন আলুর তরকারি। যাতে এই গরমের মধ্যে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়, সেইজন্যই এই ব্যবস্থা। একইসঙ্গে এটি রেডি-টু-কুক এবং সহজে রান্না হয়, পুষ্টিকরও বটে। বিরোধীরা কী বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দীর্ঘ সময় যাত্রা করে মানুষ আসেন। তারপর পার্টির পক্ষ থেকে ন্যূনতম ভাত এবং ডিমের ঝোল খাওয়ানো হয়। এটা নিয়ে যদি বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও আমাদের কিছু করার নেই। বিরোধীদের সঙ্গে আমাদের তুলনা চলে না। তারা ফাইভ স্টার হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে দল আমাদের যতটুকু নির্দেশ দেয় আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি।”
মুর্শিদাবাদ থেকে একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন মহম্মদ আমিন। তিনি বলেন, “ডিম অনেক ভাল খাবার। অনেক সুস্বাদু। খাওয়ার পরে কোনও সমস্যা হয় না। তাড়াতাড়ি হজম হয়। আর ডিম একসঙ্গে অনেকটা মজুত করে রাখা যায়। নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। কিন্তু মাছ মাংস সংরক্ষণ করতে অনেকটা ঝক্কি নিতে হয়। তাই এত বড় মাপের কর্মশালাতে ডিমটাই সবদিক থেকে ভাল।”
মালদহ থেকে সমাবেশে এসেছেন স্বপন দাস। তিনি বলেন, “সব পুজোর একটা নির্দিষ্ট প্রসাদ হয়। তেমনই ২১ জুলাই আমাদের কাছে কোনও পুজোর থেকে কম নয়। আর এই পুজোর প্রসাদ ডিম-ভাত। আমরা সারা বছর অনেক কিছু খাই। কিন্তু এখানে ডিম-ভাত খাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি”
UJJAL ROY