ব্যাঙ্কের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড-সহ একাধিক স্কিমের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি এই স্কিমের অনুমোদন দেরিতে কেন করছে, তা নিয়ে মুখ্য সচিবের প্রশ্নের মুখে পড়ে একাধিক ব্যাঙ্কসংস্থাগুলি।
পাশাপাশি মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড নিয়েও এ দিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। ব্যাঙ্ক গুলি মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের পরিষেবা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিতে কেন এত সময় লাগাচ্ছে? বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন ব্যাঙ্কগুলির উদ্দেশ্যে খোদ মুখ্যসচিব। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়েও ব্যাঙ্কগুলো প্রশ্নের মুখে পড়ে নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের।
advertisement
আরও পড়ুন:রাতভর মাঠে-মাঠে ঘুরছেন বিডিও, চন্দ্রকোনায় হঠাৎ হল টা কী? চাঞ্চল্য এলাকায়
আরও পড়ুন: গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে তফাৎ কী! 'সঠিক ইতিহাস' পড়াবে সিপিআইএম, শহরের ২৫ জায়গায় চলছে ক্লাস
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের যখন অনুমোদন দিয়ে লোন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে তখন কেন সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে ব্যাঙ্কগুলি প্রশ্নের মুখে পড়ে নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের। এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। ৪১ হাজার আবেদন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এর জন্য পড়ে আছে অনুমোদনের অপেক্ষায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছে।
এ দিনের বৈঠকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে এগুলি অনুমোদন করে দেয় ব্যাঙ্কগুলি, তা নিয়ে ও বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
তবে শুধু স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নয় রাজ্য সরকারের যে স্কিমগুলি এখনও ব্যাঙ্কগুলির অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে তা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এ দিনের বৈঠকে, নবান্ন সূত্রে খবর।
উত্তরবঙ্গের একটি ব্যাঙ্ক নিয়ে এ দিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্য সচিব। ওই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিষেবা পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্য সচিব। যদিও এদিনের বৈঠকে পরিষেবা গুলি যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয় সেই বিষয়েও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়