তৃণমূলে তিনি ছিলেন হেভিওয়েট। কলকাতার মেয়র। রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি। এ হেন শোভন চট্টোপাধ্যায় যোগ দিলেন বিজেপিতে। সঙ্গে বন্ধু বৈশাখী ৷ অবশেষে মিলল জবাব ৷ কিভাবে এবং কেন বিজেপিতে কানন ৷
দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবার রাজ্যে ছিল শোভন-বৈশাখীর সংবর্ধনা ৷ সেই সভায় এসে শোভন বলেন, ‘তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম ৷ যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে ছিলাম ৷ বামেদের চেয়েও ভয়ঙ্কর তৃণমূল ৷ বৈশাখী আমার বিপদের বন্ধু ৷ বৈশাখীর মাধ্যমে দিলীপদার সঙ্গে যোগাযোগ ৷ বিজেপিতে যোগ দিতে বলেন দিলীপ ঘোষ ৷’
advertisement
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই শোভন মমতার পাশে ৷ রাজনীতির শুরু অবশ্য কংগ্রেসে৷ ১৯৮৫ সালে মাত্রা একুশ বছর বয়সে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর হন শোভন ৷ ২০০০ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় যখন কলকাতা মেয়র তখন শোভনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জল সরবরাহ দফতরের ৷ সেই থেকে শোভন হয়ে ওঠেন ‘জল শোভন’৷ ২০১০ সালে শোভনকে কলকাতা পুরসভার মেয়র করেন মমতা ৷ ২০১৫ সালে আবার ৷ ২০১৬ সালে বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন শোভন ৷ মমতা তাঁকে তিনটি দফতরের দায়িত্ব দেন - দমকল, আবাসন ও পরিবেশ ৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতির দায়িত্বও শোভনকেই দেন মমতা ৷ তৃণমূলে এত দায়িত্ব ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
