পরপর দু'বার ফরেন্সিক পরীক্ষা। শুক্রবার গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের বিশেষজ্ঞরাও পরীক্ষা করলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। কিন্তু তার পরেও দুর্ঘটনার সময় এয়ারব্যাগ কেন খোলেনি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না। এদিন কলকাতা পুলিশের কাছে গাড়ি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা একটি রিপোর্ট দেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়,
-- গাড়িটি প্রথমে ডানদিকে সজোরে ধাক্কা মারে
advertisement
-- এরপর বাঁদিকে কিছুটা স্কিড করে রাস্তার পাশে পোস্টে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়
-- বিক্রমের গাড়ির মডেলের বিশেষত্ব অনুযায়ী এয়ারব্যাগ সামনের দিকে থাকে
-- সামনাসামনি ধাক্কা না লাগার ফলেই সম্ভবত সেন্সর কাজ করেনি
-- এই মডেলের গাড়ির দরজার দিকে এয়ারব্যাগ থাকে না
-- গাড়ির ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার অনুযায়ী, চালক ব্রেক কষেছিলেন
-- কিন্তু সেটা কোথাও ধাক্কা লাগার পর
-- দুর্ঘটনার সময় বিক্রম ও সনিকা দু'জনের কেউই সিট বেল্ট পড়ে ছিলেন না
-- কারণ গাড়ির EMERGENCY LOCKING RETRACTOR-এর তিনটি পয়েন্টেই কোথাও ছেঁড়েনি
অন্যদিকে, বিক্রমের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের তথ্যেও ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি,
গাড়ির 'ভুয়ো' রেজিস্ট্রেশন
-- WB12 C 9755 নম্বর গাড়িটির প্রথম রেজিস্ট্রেশন হয় ১৩ জুন, ২০১৪
-- হাওড়া আরটিওতে রেজিস্ট্রেশন হয় গুরমান অটোমোবাইল প্রাইভেট লিমিটেডের নামে
-- ওই গাড়িরই ফের রেজিস্ট্রেশন হয় ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬-তে
-- এবার রেজিস্ট্রেশন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের নামে বনগাঁ এআরটিও-তে
-- সেখানে বিক্রমের ঠিকানা লেখা হয় স্টেশন রোড, বনগাঁ
-- কিন্তু শুধুমাত্র স্টেশন রোড বলে বনগাঁয় কোনও ঠিকানা নেই
-- রেজিস্ট্রেশনে একইসঙ্গে কসবা সুইনহো স্ট্রিটের ঠিকানাও দেওয়া হয়
এখানেই রহস্য আরও বেড়েছে। কলকাতার কসবার বাসিন্দা হঠাৎ কেন বনগাঁ থেকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করালেন? কেন ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া হল? নিয়ম অনুযায়ী হাওড়া আরটিও থেকে নেওয়া হয়নি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। এয়ারব্যাগ না খোলার কারণ নিশ্চিত হতে সোমবার গাড়ি কোম্পানির রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন টিমের দুই সদস্য ফের বিক্রমের গাড়ির পরীক্ষা করতে পারেন।