একটা মত বলছে, রুদ্রনীল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলেও তৈরি আছেন। তিনি নাকি দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে শিবপ্রকাশের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। এমনকী ফিরে আসার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও নাকি দেখা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তবে দিলীপ শিবিরের অধিকাংশই রুদ্রনীলকে প্রার্থী হিসেবে চান না। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর পরাজয়ের মার্জিন নিয়ে ওয়াকিবহাল দল। তাঁরা চান এখানে ঠাঁই পাক কোনও যোগ্যতম মুখ।
advertisement
শুধু ভবানীপুরই কেন, সীমিত ক্ষমতা বিষয়ে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় বিজেপি যখন উপ নির্বাচন নিয়ে খানিকটা গা-ছাড়া মনোভাবই দেখাচ্ছে তখন বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী দিতেও রাজি নয় রাজ্য বিজেপি। তারা বলছেন, এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্র একতরফা ছড়ি ঘোরাক তা তারা কোনও মতেই চান না। তাদের লড়াই করার মতো উপযুক্ত প্রার্থী রয়েছে।
রাজ্য বিজেপির নেতারা বিলক্ষণ জানেন সামশেরগঞ্জ এর মতো আসনে প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু শান্তিপুর, খড়দহ, দিনহাটা, ভবানীপুরের মত আসনে লড়াই করতে উপযুক্ত প্রার্থীদের বেছে নিক কেন্দ্র এমনটাই চাই রাজ্য বিজেপি।
একথা ঠিক যে তৃণমূল চাইছে এই সাত কেন্দ্রের ভোট যত দ্রুত সম্ভব মিটে যাক। ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জিতলে তিনি বিধানসভার সদস্যা হবেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে রাজ্য বিজেপি উপনির্বাচন চায় না, কারণ এত বড় ধাক্কা সামলে এক্ষুনি উপনির্বাচনে বিরাট ইতিবাচক ফল হবে এমনটা অতি বড় বিজেপি ও মনে করে না। বিশেষত লক্ষ্মীর ভান্ডার. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সরকারি প্রকল্পের সাফল্য যে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে সুজলা সুফলা করবে, তা জানেন রাজনীতির ব্যাপারীরাই। তবে যদি নির্ঘণ্ট ঘোষণা শেষমেশ আটকানো না যায় তাহলে তাকে ঢিলেঢালাভাবে নেওয়ারও কোনো কারণ দেখছেন না রাজ্য বিজেপির বড় নেতারা।
অক্টোবরে দুর্গাপূজা-সহ মহোৎসবের আগেই রাজ্যে ভোট উৎসব শেষ হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চার হয়েছে। আর যদি তাই হয় তবে সকলের নজরে থাকবে ভবানীপুর।