বরাবর এরাজ্যে পিছনের সারিতেই ছিল বিজেপি। কিন্তু, গতিবদল শুরু হয় গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই।
- ২০১৬ সালের পর থেকেই বিভিন্ন উপনির্বাচনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে
- ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে উল্লেখযোগ্য ফল করে বিজেপি
- ১৮% গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে
- বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, মালদহ-সহ একাধিক জেলায় ক্ষমতা বাড়ায় বিজেপি
advertisement
- আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিজেপির সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো
রাজ্যে বিজেপির সম্ভাবনা দেখেই ২০১৯-র অঙ্ক কষা শুরু করেন মোদি-শাহরা। রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট যে ঘরে ঢুকবে না তার আঁচ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাই, ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশলই মূল অস্ত্র হয়ে ওঠে। বাম ভোটারদের টানতে এরাজ্যে ত্রিপুরা মডেলের পরীক্ষা করে বিজেপি। তাতেই ভোট শতাংশে চমকপ্রদ উত্থান।
- ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ১৭.০২ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি
- এবার ভোট শতাংশ বেড়ে প্রায় ৪০
- ২০১৪ সালে বামেদের ভোট ছিল ২৯.৭১%
- এবার তা কমে ৭.৬৫%
ফলাফলে স্পষ্ট, বামেদের সংখ্যালঘু ভোটের বড় অংশ গিয়েছে তৃণমূলের ঘরে। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটও পেয়েছে তৃণমূল। আবার তৃণমূলের হিন্দু ভোটের একাংশ পেয়েছে বিজেপি।
বিজেপির রকেট গতির উত্থানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন অধীর চৌধুরী।
ধর্মীয় মেরুকরণ তো আছেই, তার সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভ। এগুলিও পদ্ম শিবিরকে শক্তি জুগিয়েছে। এর মধ্যেও অবশ্য ব্যতিক্রম অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূম জেলা। নিজের আসন ধরে রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের জেলার দুটি আসন দখলে রাখার পাশাপাশি দলের তরফে দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের দুর্গ জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল ফোটালেন শুভেন্দু অধিকারী।