কলকাতা: বিসর্জনেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের শোভাযাত্রায় পরিবর্তনের ডাক। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছেন বিজেপির নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বহু সাধারণ মানুষও। আর এই দৃশ্য দেখেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, আগামী ২০২৬-এই তৃণমূলের বিসর্জন হবে। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে বিসর্জন দেবেন। এই নির্বাচনের কমান্ড আর কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে নেই। গণতন্ত্রে মানুষই সবচেয়ে শক্তিশালী। তৃণমূল সরকারি কর্মচারী, অসংগঠিত শ্রমিক, মহিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে এদের বিসর্জন দিয়ে দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলকে সরিয়ে দেওয়ার। বিগত নির্বাচনগুলিতে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপিই একমাত্র তৃণমূলকে হারাতে পারে।’ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ‘আমরা সকলকে আহ্বান করছি, কিছুদিনের জন্য মতাদর্শ দূরে রেখে, পতাকা ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দিতে এগিয়ে আসতে হবে।’ দুর্গাপুজোর কার্নিভাল আয়োজন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, এই সরকার আসলে একটি কার্নিভাল সরকার। মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে শমীক বলেছেন, তৃণমূল সরকার মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই, এই সরকারের অগ্রাধিকার হলো কার্নিভাল। এই সরকার একটি কার্নিভাল সরকার। এই সরকার সরকারি কর্মচারীদের যত্ন নেয় না, যারা তাদের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করে। এই সরকার সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বিরুদ্ধে।উল্লেখ্য, এবছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর থিম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’ । পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনকে হত্যার জবাবে হয়েছিল ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান। কিন্তু পুজোর শুরু থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টি করার আশঙ্কা জানিয়েছিলেন সজল ঘোষ। এরপরও পাঁচদিনের পুজোয় প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ প্যান্ডেলে এসেছিলেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সজল ঘোষের মতো বিজেপি নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের মতো একটি পুরানো, জনপ্রিয় দুর্গাপূজাকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছেন। তবে, বাংলার সচেতন মানুষ গেরুয়া দলকে রাজ্যের বৃহত্তম উৎসবকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করতে দেবেন না।