কেনও? সমর মাইতি বলেন, "বেশকিছু দিন ধরেই লক্ষ্য করছি বুকে ব্যাথা করে। গ্যাসের ব্যাথা মনে করে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে নিতাম। তাতে কাজও হতো। কিন্তু কেকে-র ঘটনা দেখে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। সাবধানের মার নেই। তাই ডাক্তারবাবুর কাছে চলে এলাম। দেখিয়ে নিলে ক্ষতি নেই। ডাক্তারবাবু যে ভাবে চলতে বলবেন তা মেনে চললে যদি সুস্থ থাকা যায়।" সাধন রায়ের বক্তব্য, "কেকে-র মতো একজন বিখ্যাত মানুষের যদি এমন হয় তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে? হঠাৎ করে বিপদে পড়ার চাইতে আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। কেকে-কেও যদি একটু আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেতো তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন শিল্পী। তারও আগে যদি তিনি নিজে থেকে সচেতন হতেন!"
advertisement
আরও পড়ুন: ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি জেলায় জেলায়, দুর্যোগের মুহূর্তে বাড়িতে থাকুন, সতর্কতা...
ধূমপান ত্যাগ করতে চান খোকন দাস। তিনিও চান ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। তিনি বলেন, "এমনিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু পরে হতেও তো পারে। তাই আগে থেকে যদি সাবধান হতে পারি তাহলে অনেকটাই ভালো থাকা যায়। এটা অনেকদিন আগে থেকেই মনে হচ্ছিল। তবে কেকে-র এই রকম মৃত্যু হওয়াতে ভয় পেয়ে গিয়েছি। পরিবারের লোকেরাও চায় আমি ধূমপান ত্যাগ করি। কিন্তু অনেকদিনের অভ্যাস। কিছুতেই ছাড়তে পারছি না। তাই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে চাই।" তবে সচেতনতা বাড়ায় ইতিবাচক দিক দেখছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা। তাঁদের মতে আগে থেকে একটু সচেতন থাকলে। খাবারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে এবং একটা সময় অন্তর চেকআপে থাকলে অনেক রোগ হওয়া থেকে আটকানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ধৃত আইএস জঙ্গির প্রথম সাজা ঘোষণা, মুসার যাবজ্জীবন কারাদন্ড
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ধীমান কাহালি বলেন, "কয়েকজন এসেছেন। তারমধ্যে একজন আইআইটির একজন তরুণ অধ্যাপক ছিলেন। তাঁকে বলেছি আপনার কোনও চিন্তা নেই। আমি বড় সঙ্গীতশিল্পী হই বা বড় রাজনৈতিক নেতা হই অথবা আমি নিম্নবিত্ত কেরানি হই বা আমি রিকশা চালাই। সবার ক্ষেত্রে ফিজিওলজি বা অ্যানাটমিটা এক। কাজেই আমাদের জীবনশৈলি মেনে চলতে হবে। ডিসিপ্লিন লাইফ লিড করতে হবে। আর কিছু কিছু জিনিস করতে হবে। যেমন, আমরা তামাক ছোঁব না। যদি হাই ব্লাড প্রেশার থাকে, হাই কোলেস্টেরল থাকে, হাই সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের প্রতিদিন শারীরিক কসরত করতে হবে। যদি মোটা হই, তা কমাতে হবে।"
UJJAL ROY