বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পরিবহণ মন্ত্রীর। রাজ্য পরিবহণ দফতর বোঝাতে চায় পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে অবিলম্বে এই সমস্ত স্কুল বাসগুলি বাতিল করা হোক। স্কুল নিজে থেকে রাজি না হলে, রাজ্য সরকার আইন অনুযায়ী, বাতিল করে দেবে এই সমস্ত বাসগুলিকে। রাজ্য পরিবহণ দফতর যে রিপোর্ট তৈরি করেছে সেখানে উঠে এসেছে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি নামী স্কুল আছে যাদের বাসের বয়স ২০ বছরের ওপর। এমনকী ২৫ বছরের পুরনো বাস তারা চালায়। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা প্রায় ৫০০ কাছাকাছি।
advertisement
এই সমস্ত বাসের নেই কোনও ফিট সার্টিফিকেট। ফলে সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে না করের টাকাও। আর ট্যাক্স বা কর ছাড়া গাড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই রাজ্য পরিবহন দফতরের খাতায়। কলকাতা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকেই কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়াতে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি চলতে পারে না। যদিও ১২ বছর পরেও শহরের রাস্তায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে দিব্যি চলে বেড়াচ্ছে সেই সব বাস।
কলকাতা পুলিশ যে সিসিটিভি টেকনোলজি ব্যবহার করছে সেখানেই ধরা পড়েছে এই চিত্র। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বাসে বসে থাকা অবস্থায় পরিবহন দফতর অভিযান চালাতে অনিচ্ছুক। দফতরের আধিকারিকদের কথায় তাতে সমস্যায় পড়বেন ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা।
তাই স্কুলের আধিকারিকদের ডেকে এই সমস্ত স্কুল বাস বাতিলের আবেদন করবে পরিবহন দফতর। এছাড়া অভিভাবকদের সচেতন করতে কাগজে ও টিভিতে এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথাও ভাবছে তারা। দফতরের কথায় মৃত গাড়ি রাস্তায় আর চলবে না।
Reporter: Abir Ghosal