ইতিমধ্যেই রাজ্যের পর্যটন সচিব সৌমিত্র মোহন জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে পর্যটনকে হাতিয়ার করতে ‘থিম’ ট্যুরিজিমের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হল পর্যটনে পোটেনসিয়াল ডেস্টিনেশন বা ‘সম্ভাব্য গন্তব্য’ তুলে ধরা। এজন্য রাজ্য সরকার এধরনের ‘থিম’ ট্যুরিজিমের সম্ভাব্য স্থান জেলাশাসকদের চিহ্নিত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলল।
advertisement
রাজ্য সরকার বিশেষজ্ঞদের পরমার্শ মেনে সাত ধরনের ট্যুরিজিমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়। এগুলি হল, ইকো ট্যুরিজিম, হেরিটেজ বা সংস্কৃতিক পর্যটন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, রুরাল ট্যুরিজম, ওয়েলনেস ট্যুরিজম, বিচ ট্যুরিজম। এছাড়াও এমন জায়গা জায়গা মনোরম, শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে,বিভিন্ন সংস্থা মিটিং,কনফারেন্স,প্রদর্শনী করতে আগ্রহ দেখায়। এই সব সম্ভাব্য পর্যটনকেন্দ্রগুলি পরিকাঠামো-সহ সামগ্রিক পরিষেবা উন্নয়নে স্থানীয় মানুষকে যুক্ত করে করা হবে। যাতে তারা কর্মসংস্থানের নয়া দিশা পান। এলাকায় পর্যটকদের সুরক্ষায় দায়বদ্ধ থাকেন। এজন্য রাজ্য সরকার বিশেষজ্ঞদের পরমার্শ মেনে তেরো দফা কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা তৈরি করছে।
এছাড়াও ঐতিহ্য বা হেরিটেজ জায়গা গুলি রয়েছে তাকে উপযুক্ত সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। পর্যটন দফতরের মতে, সরকারের লক্ষ্যই ওড়িষ্যা, গোয়া, রাজস্থানের মতো পশ্চিমবঙ্গকে পর্যটন কেন্দ্রিক রাজ্যে পরিণত করা। কারণ এই রাজ্যে পাহাড় থেকে সাগর সবই রয়েছে। অল্প কয়েকটি জেলার মধ্যে যা আটকে রেখে রাজ্য জুড়েই ছড়িয়ে থাকা নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে সামনে রেখে নানা মনের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সঠিকভাবে পরিবেশন করা। জেলাশাসকরা এই স্থানগুলি কোন ধরনের ট্যুরিজমের উপযুক্ত চিহ্নিত করে দিলেই প্রত্যেক ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেবে। পর্যটকরা নিরপত্তা পাবে। পানীয় জল, শৌচালয়ের মতো পরিষেবা সুনিশ্চিত করবে প্রশসান।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়